ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জন আমোস সেন্টার 

‘ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বাঙালি পরিচয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
‘ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বাঙালি পরিচয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়’

ময়মনসিংহ: ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বাঙালি পরিচয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। ভারতের অনেক লেখক ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনা করে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

তাই বলে তাদের ভারতীয় পরিচয় খাটো হয়ে যায়নি। বরং ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনা করে ভারতীয় পরিচয়কে আরও বেশি সম্মানিত করেছেন তারা।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর সাহেব আলী রোডে প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জন আমোস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে একথা বলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম।  

সেমিনারে ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকরা অংশ নেন।  

সেমিনারে অধ্যাপক মোহিত উল আলম ‘হাউ টু লার্ন ইংলিশ থ্রো লাভ’ বিষয়ের ওপর এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বক্তব্য এবং উপস্থিত শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।  

অধ্যাপক মোহিত উল আলম আরও বলেন, ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। এ ভাষা শিক্ষা গৌরবের। ইংরেজি ভাষা শিক্ষার কাজটি করতে হবে ভালোবাসার মাধ্যমে। আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এটি উপলব্ধি করতে পেরেছি।  

জন আমোস সেন্টারের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক মোহিত উল আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা যেভাবে ইংরেজি ভাষা শিখতে স্বাছন্দ্যবোধ করে, তাদের সেভাবেই শিখাতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ভাবনা ও স্বপ্নকে মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই জন আমোস সেন্টার ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে।

জন আমোস সেন্টারের কোর্স সমন্বয়ক মোহাম্মদ আরিফ মুজতবা কামালের সঞ্চালনায় এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. আবুল খায়ের মুহাম্মদ হেলালউদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম।

এ সময় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. আবুল খায়ের মুহাম্মদ হেলালউদ্দিন বলেন, জন আমোস সেন্টার নতুন একটি প্রতিষ্ঠান। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ময়মনসিংহ নগরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখব।  

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- জন আমোস সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার এহসান হাবীব, পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম জহিরুল হাসান মিল্টন, অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী, সাদিয়া আফরিন লুনা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি২৪, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।