জামালপুর: প্রত্যন্ত গ্রামের ধানের খেতে টক বগিয়ে দৌড়ে চলছে বিভিন্ন রঙের ছোটো-বড় ঘোড়া। আর এই ঘোড়াগুলোর পিঠে বসে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন ঘোড়সওয়ারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জামালপুরের ইসলামপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা।
হারিয়ে যাওয়া এই খেলা দেখতে উপজেলার পূর্ব বাহাদুরপুর গ্রামে ভিড় জমায় নানা শ্রেণি পেশার হাজার মানুষ। ঘোড়ার দৌড় খেলা দেখে আনন্দিত সবাই। এমন খেলা প্রতি বছরই আয়োজন করার দাবি স্থানীয়দের।
ঘোড়া খেলার মাঠের একপাশে মাটিতে বসে খেলা দেখছেন বৃদ্ধ সিরাজ মিয়া। তিনি বলেন, আমরা যখন যুবক ছিলাম তখন অনেক ঘোড়া খেলা দেখেছি। আমরা খেলেছিও। কিন্তু সময় যত যাচ্ছে ততোই এই খেলাগুলো বিলুপ্তি হচ্ছে। আমরা চাই এই খেলাগুলো রক্ষায় সরকার যেন পদক্ষেপ নেয়।
অর্থ নয় শুধু মাত্র আনন্দ উল্লাসের জন্য শখের বশে এই খেলায় অংশ নেন ঘোড়ার মালিকেরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে খেলায় অংশ নেওয়াই তাদের নেশা। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও মনের টানে খেলায় অংশ নেন ঘোড়াসওয়াররা।
ঘোড় খেলা অংশ নেওয়া ঘোড়ার মালিক মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা শেরপুর থেকে ঘোড়া নিয়ে এসেছি। ঘোড়া খেলা আমাদের একটা মনের খোরাক। এই খেলা আমাদের মনকে ভালো রাখে। প্রতি বছর এমন খেলার আয়োজন করা হোক।
ঘোড়াসওয়ার আশরাফ বলেন, আমি ঘোড়া দওরাই, খেলাটা খুব রিস্ক। তবে আনন্দও রয়েছে। কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় আমি ঘোড়া দৌড়ে প্রথম হয়েছি। আজও এই খেলায় আমার ঘোড়াই প্রথম হয়েছে।
পুরো খেলাটি উপভোগ করেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। তিনি বলেন, এমন খেলা প্রতিবছরই আয়োজন করার দাবি সবার। আর গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পরবর্তীতে আরও ভালোভাবে এই খেলা আয়োজন করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
খেলার আয়োজক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুর, শেরপুরসহ সাত জেলা থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ৫০টি দল। এর মধ্যে সাত রাউন্ডে বিজয়ী হয় ২১ জন। খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল ও অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৪
এসএম