ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে হলুদ-বেগুনি ফুলকপি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
পাবনায় ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে হলুদ-বেগুনি ফুলকপি

পাবনা: ইউটিউব দেখে রঙিন ফুলকপি চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী।  

তার রঙিন ফুলকপি এখন পাবনার হাটবাজারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।

বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। সবজির দোকানগুলোতে ক্রেতারা আসার সঙ্গে সঙ্গেই আকৃষ্ট করছে রঙিন
ফুলকপি। প্রথমবার এমন ফুলকপি দেখে কৌতূহল আর শখের বসে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।  

কৃষক আসলাম আলী বলেন, গত বছর আমার দুই মেয়ে ইউটিউবে রঙিন ফুলকপির ভিডিও দেখে। এরপর তারা আমাকে এ ফুলকপি চাষ করার জন্য উৎসাহিত করে। আমিও ভিডিও দেখে মুগ্ধ হই এবং চাষ করার সিদ্ধান্ত নিই। এজন্য আমি প্রথমে পাবনা সদর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে যাই। কিন্তু তারা কোনো সাহায্য করতে পারেননি। এরপর আমি প্রথমে ইউটিউবের যে ভিডিও করেছিলেন, তাকে ফোন দিই, তখন তিনি জানান যে ঢাকায় বীজ পাওয়া যাবে। এরপর আমি ঢাকায় বীজ ভাণ্ডারে যোগাযোগ করে বীজ নিয়ে এসে আবাদ করি।

তিনি আরও বলেন, আমার দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ছয় হাজারের বেশি ফুলকপি গাছ রোপণ করেছিলাম। সবগুলোই ভালোভাবেই বড় হয়েছে। এখন আমি প্রতিদিন এগুলো কেটে সরাসরি বাজারের নিয়ে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দামে বিক্রি করি। আমি পাইকারি ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। সেগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০-১০০ টাকায়।

আসলাম আলীর পিতা ওমর আলী বলেন, প্রথম দিকে একটু চিন্তায় ছিলাম, এ সবজিগুলো সঠিকভাবে হবে কি না। কিন্তু আমার ছেলে দেড় বিঘা জমিতে সফলভাবে আবাদ করতে পেরেছে। কপিগুলোও বেশ বড় বড় হয়েছে। আবাদের খরচ অন্যান্য কপির মতোই। আলাদা কিছুই নেই। তবে জৈব সার একটু বেশি লাগে। অনেকেই হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি দেখতে আমাদের জমিতে আসছেন। কেউ ছবি তুলছেন আবার কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের ভালোই লাগছে। আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো ফসল হয়েছে ক্ষেতে। ভালো দামেই আমাদের কপি বিক্রি হচ্ছে।

পাবনা শহরের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে রঙিন ফুলকপি। সাদা কপি বিক্রি হচ্ছে যেখানে ৫০-৬০ টাকা কেজি, সেখানে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি ৮০-১০০ টাকা কেজিতে। ক্রেতাদের বাড়তি আগ্রহ থাকায় ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে বলছেন, স্বাদও ভালো। আমি নিজেই প্রতিদিন ৫০-৬০টি রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনার উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দীন বলেন, এগুলো জাপানি জাতের ফুলকপি। আমাদের দেশে মাত্র দুই বছর আগে আবাদ শুরু হয়েছে। পাবনায় সাধারণত সাদা কপির চাষ হয়, এবারই প্রথম রঙিন কপি চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কেউ যদি এমন রঙিন কপি আবাদ করতে চান, তাহলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।