আমার বাবাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি নির্দোষ এবং নিপীড়িত।
ব্রিটিশ ফ্রি-টু-এয়ার পাবলিক ব্রডকাস্ট টেলিভিশন চ্যানেল 'চ্যানেল ফোর' এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত ভিডিওতে মনিকা বলেন, আমার বাবা নির্দোষ এবং নিপীড়িত। আমার বাবাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় জামিন আবেদনের আগে মনিকা ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেয় 'চ্যানেল ফোর'।
আমার বাবা পৃথিবীকে বদলাতে চেয়েছেন উল্লেখ করে মনিকা বলেন, ড. ইউনূস দারিদ্র্যকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। এটাই ছিল আমার বাবার স্বপ্ন। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার পুরো জীবনটাই প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীদের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তার পক্ষে থাকার কারণে তার আরও তিন সহকর্মীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আদালত কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেননি।
ড. ইউনূস কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বা রাজনৈতিক হুমকির সম্মুখীন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মনিকা বলেন, আমার বাবা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। একসময় তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন রাজনীতি তার জন্য না। তাই আগামীতেও তার রাজনীতিতে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। তিনি সবসময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস নতুন কিছু আবিষ্কার করেছেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি গৃহঋণ, মৎস্য খামার এবং সেচ ঋণ প্রকল্পসহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেন।
এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ যুক্তি দেখান তিনি।
গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
সূত্র: চ্যানেল ফোর
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
জেএইচ