ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে বেলুন ও উৎসবের ফেস্টুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শীত মৌসুমে হরেক স্বাদের পিঠা-ফুলির আয়োজন বাঙালি লোকজ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশীয় এ ঐতিহ্যকে লালন করার উদ্দেশ্যে সারা দেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আড়ম্বর পরিসরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ উৎসবে সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালনসহ এর সমৃদ্ধিতে সবার অংশগ্রহণ কামনা করেন জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।

এর আগে জেলা প্রশাসক উৎসবস্থলে আয়োজিত মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, সিভিল সার্জন আহমেদ কবির, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাজিয়া পারভিন প্রমুখ।

জাতীয় পিঠা উৎসব লক্ষ্মীপুর এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেহের নিগার।  

এ সময় বিভিন্ন স্টলে নিজ হাতে বানানো শতাধিক পিঠার সাজানো পসরার সাথে পরিচিত হয়ে এর স্বাদ নেন অতিথিরা।

এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা মানুষজনও হৃদয় হরণ, মাছ পিঠা, ফুলি পিঠা, নারিকেল পিঠা ও পাটি সাপটাসহ নানা ধরনের পিঠার স্বাদ নিয়েছেন।

এ আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।

পিঠা উৎসবে ডাল পাকন, শুকনা পিঠা, লতা পিঠা, শামুক পিঠা, সাকুর পিঠা, পদ্মার ইলিশ পিঠা, পাটি সাপটা, পান্তুয়া, জেলি কেক, বরফি, দুধ চিতল, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ঝুনঝুনি পিঠা, মুগ পাকন, ক্ষীর পাটি সাপটা, হৃদয় হরণ ও নারিকেল বেলি পিঠাসহ দুই শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। একেকটি দোকানে ৫০ ধরনের পিঠা থাকলেও সবগুলোর নামও অজানা অনেকের কাছেই।

পিঠা উৎসব দেখতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত পৌষ মাসে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। তবে শীত মানেই বাড়িতে বাড়িতে পিঠা উৎসব। যদিও এখন আর গ্রাম ছাড়া শহরে পিঠা দেখা যায় না। খাওয়াতো অনেকে দূরে, অনেক পিঠার নামও এখন মনে পড়ে না। এখন শহরের মানুষের একমাত্র ভরসা রাস্তার পাশে বানানো চিতই আর ভাপা পিঠা। মফস্বল শহরেও একই অবস্থা।

সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত পিঠা উৎসব প্রশংসনীয়। কুয়াশা ঘেরা বিকেলে পিঠা উৎসবটি আনন্দদায়ক ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। শেষে উৎসবস্থলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।