ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪৩২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৯, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই  ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘স্বাস্থ্য পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৯টা রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি মৎস্যভবন ও শাহবাগ ঘুরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালিটির আয়োজন করে বিএফএসএ।

র‌্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনে সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।  

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য ব্যাপারটা এমন নয় যে, একদিনে সব খাদ্য নিরাপদ হয়ে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপদ হয়েছে। আমরা সোচ্চার হয়েছি, আমরা সচেতন করছি। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে যারা খাবার তৈরি করছে, যারা খাবার উৎপাদন করছে প্রত্যেকটি সেক্টরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যাচ্ছে, তাদের সচেতন করছে, কোনো ব্যত্যয় পেলে জরিমানা করছে। আমরা যারা পরিচিত মুখ, আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার বলেন, আজকে আমাদের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। আমরা যদি উন্নত স্বাস্থ্য ও মেধা বিশিষ্ট জাতি গঠন করতে চাই, তাহলে অবশ্যই নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সবার সঙ্গে সমস্বয় করে আমরা কাজ করছি। আশা করি ভোক্তা থেকে শুরু করে খাদ্য উৎপাদক ও প্রক্রিয়াজাতকারীসহ সবার সচেতনতার মাধ্যমে একসময় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সাধারণ র‌্যালির পাশাপাশি সাইকেল র‌্যালিরও আয়োজন করে বিএফএসএ। এতে সহযোগিতা করে বিডি টুরিস্ট সাইক্লিস্ট নামের একটি সংগঠন। প্রায় ১০০ জন সাইক্লিস্ট এতে অংশ নেন। তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাইকেলের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন বার্তা প্রচার করবেন।

২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উদযাপন করে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।  

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন বাণীতে বলেন, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম আরও বেগবান করা অত্যন্ত জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে দেশে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপদ খাদ্যব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিরলস কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি একদিকে যেমন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে; অন্যদিকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের পাশাপাশি গবেষণাধর্মী কার্যক্রমও পরিচালনা করছে।

এছাড়া খাদ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আগামী ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেইফ ফুড কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। এ কার্নিভালে বিভিন্ন নামিদামি খাদ্যপ্রতিষ্ঠান তাদের খাদ্যপণ্য তৈরি ও পরিবেশনে কীভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখে তার যথাযথ উপস্থাপন থাকবে।  

অন্যদিকে পিঠা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, লাইভ পিজা প্রস্তুত, কুইজিন তৈরি এবং জলের গান, কুঁড়েঘর ব্যান্ডের পরিবেশনাসহ নানা আয়োজন থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
এসসি/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।