ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘শরীফার গল্প’র দুই লাইন প্রত্যাহারের দাবি চুন্নুর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
‘শরীফার গল্প’র দুই লাইন প্রত্যাহারের দাবি চুন্নুর

ঢাকা: ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটি ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে পাঠ্যবই থেকে এ সংক্রান্ত দুই লাইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ এবং হিজড়ার মধ্যে পার্থ্যক্যটা কী? নিজেকে নিজের জন্মগত লিঙ্গ বাদে অন্য কোনো লিঙ্গ মনে করাটাই ট্রান্সজেন্ডার। এই বিষয়টি পুরোপুরি মানসিক। হিজড়া যারা তারা হলো থার্ড জেন্ডার। সে বিষয়টি জন্মগত। এটি মানসিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এরাই থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচিত। ট্রান্সজেন্ডার শুধু পশ্চিমা বিশ্বের একটি শ্রেণির মতবাদ। এটা প্রবর্তিত হয়েছে গতানুগতিক সামাজিক ধারণা অর্থাৎ পরিবার ও ধর্মকে ভেঙে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃস্টির উদ্দেশ্যে।

তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটি থার্ড জেন্ডার হিসেবে চালিয়ে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্য কোনোক্রমেই ভালো বলে আমরা মনে করছি না। এই ট্রান্সজেন্ডার ধারণা ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ ইতোমধ্যেই মতামত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দল দলীয়ভাবে ট্রান্সজেন্ডার ধারণা বিরোধী। আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী তারা বিশ্বাস করি, যারা হিজড়া তারা নিজ থেকে হিজড়া না। জন্ম থেকে তারা হিজড়া। আল্লাহতায়ালা তাদের হিজড়া হিসেবে সৃস্টি করেছেন। এদের অধিকার রাষ্ট্র ও ধর্ম স্বীকার করে।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, হিজড়াদের নিয়ে কারো কোনো আপত্তি নেই। ট্রান্সজেন্ডার ধারণা ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ক্লাস সেভেনের পাঠ্যপুস্তক থেকে শরীফার গল্পের মাত্র দুটি লাইন ‘ছোট বেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলত। কিন্তু আমি নিজে এক সময় বুঝলাম আমার শরীর ছেলের মতো হলেই আমি মনে মনে একজন মেয়ে। ’ এটা একটা মানসিক বিষয়। এখানে উদ্দেশ্য যেটা সেটা আমি এই সংসদে বলতে চাই না। ট্রান্সজেন্ডার যেটি ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পাঠ্যপুস্তক থেকে যদি দুইটি লাইন প্রত্যাহার করেন তাহলে এই দেশের মানুষের এ বিষয়ে কোনো অবজেকশন থাকবে না। এই দুইটি লাইন প্রত্যাহার করলে বিতর্ক থাকে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।