ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সোনারগাঁও রোড এলাকায় বাকবিতণ্ডার জেরে হাফিজুল ইসলাম রাজু (৩২) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করেছে তার পরিবার।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁওয়ের বোরাক টাওয়ারের সামনে বেপরোয়াভাবে একটি মাইক্রোবাস চালানোর কারণে ওই গাড়িতে থাকা মনসুর হোসেন ওরফে আবুল মনসুরের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয় রাজুর। এক পর্যায়ে তার অণ্ডকোষ চেপে ধরেন এবং হাত কামড়ে দেন মনসুর। এতে রাজু অচেতন হয়ে যান। তখন তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাজু সেখানে মারা যান।
রাজু গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার মো. হারুনুর রশিদের ছেলে। তিনি তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া এলাকায় থাকতেন। নিকটস্থ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন রাজু।
ওসি জানান, রাজু রোববার তার সহকর্মীদের সঙ্গে নিজের কর্মস্থল থেকে কারওয়ান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সোনারগাঁও বোরাক টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে বাংলামোটরের দিক থেকে আসা ফার্মগেটগামী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-২০-১৭০৭) বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের ধাক্কা দেয়। তখন রাজু ও তাহার সঙ্গে থাকা লোকজন প্রাণ বাঁচাতে কিছুটা দূরে সরে যান। এরপর গাড়িতে থাকা মনসুর হোসেন ওরফে আবুল মনসুর বেরিয়ে এলে তাকে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণ জিজ্ঞেস করেন রাজু ও তার সহকর্মীরা। এ নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের জেরে মনসুর হোসেন হত্যার উদ্দেশ্যে রাজুর অণ্ডকোষ জোরে চেপে ধরেন এবং বাম হাতের কজ্বির ওপর কামড় দেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামি মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন সেখানে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ ও উপস্থিত লোকজন মনসুরকে আটক করে।
সঙ্গে সঙ্গে ডিউটিরত পুলিশের একটি টিম আহত রাজুকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাস জব্দের পাশাপাশি মনসুরকে আটক করা হয়।
এই ঘটনায় রাজুর বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন জানিয়ে ওসি বলেন, ওই মামলায় মনসুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রাজুর মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/