কক্সবাজার: জেলার টেকনাফের ঝিমংখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের শব্দ শোনা গেছে। দিনগত রাত ১২টার পর থেকে আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দে শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তবে পার্শ্ববর্তী উখিয়ার পালংখালী ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত শান্ত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, বিজিবির ঝিমংখালী বিওপির বিপরীতে অন্তত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের জিবিং অং এবং হারিংগাচরের মারিক্কমপাড়া এলাকায় এসব বিস্ফোরণ হয়। সেখানে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে আরাকান আর্মির সদস্যদের তুমুল সংঘর্ষ হচ্ছে বলে ধারণা করছেন তারা। এর প্রভাবে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর আরও সদস্য এ দেশে ঢুকতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
পালংখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক শান্ত। স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক কিছুটা কমেছে। তবে টেকনাফ সীমান্তে রাতে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে লোকজন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত তিনটা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখল করতে আক্রমণ শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি। রোববার বিকেলে সেটির দখল নিয়ে আরেকটু দক্ষিণ-পশ্চিমে ঢেঁকিবনিয়া সীমান্ত চৌকি দখলে আক্রমণ করে তারা। রোববার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দুই-পক্ষের সংঘর্ষ চলে। এই সংঘর্ষে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, শুল্ক ও বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪
এসবি/এফআর