ঢাকা: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনের বাজুস ফেয়ার ২০২৪। এতে অংশগ্রহণকারী ৪১ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক দেওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে তিন দিনের বাজুস ফেয়ারের সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
এ সময় সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সেক্রেটারি মো. মাকসুদুর রহমান, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল কুমার রায় ও বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস বলেন, বাজুস মেলা শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেনি, এটি কূটনৈতিক পাড়ায়ও অনেক সাড়া ফেলেছে। অনেক দেশের দূতাবাসের কর্তারা মেলায় এসেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখানে বাজুসের মার্কেট আছে, সেগুলোতেও এ ধরনের মেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি বাজুস আরও সামনে এগিয়ে যাবে।
কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, জুয়েলারি শিল্পের যে সম্ভাবনা, তা অনেক দূর এগিয়েছে সায়েম সোবহান আনভীরের সুযোগ্য নেতৃত্বে। গার্মেন্টস, ওষুধ এবং চামড়া শিল্পের মতো জুয়েলারি শিল্প দেশের অনেক সম্ভাবনাময় খাত। এই শিল্প দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের কারণে এ পর্যন্ত তিনটি মেলা আমরা সফলভাবে করতে পেরেছি। এর আগে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা এটি কখনও চিন্তা করতে পারেননি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ প্রফেসর এমিরেটাস চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, ইউনেস্কো আর্টিস্ট ফর পীস ও বিশ্ববরেণ্য ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলসহ অতিথিদের নিয়ে ফিতা কেটে তিন দিনের এ ফেয়ার উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আহমেদ ইব্রাহিম সোবহানসহ বাজুস নেতারা।
দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাজুস ফেয়ার চলে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তিন দিনের এ ফেয়ার প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলেছে। এবার বাজুস ফেয়ারে নয়টি প্যাভিলিয়ন, ১৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। জুয়েলারি এক্সপোতে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মূল্য ছাড়সহ আকর্ষণীয় অফারে গহনা ও ডায়মন্ড বিক্রি করা হয়েছে।
তিন দিনের এ ফেয়ারে আসেন ২০ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী। দেশবিদেশের ক্রেতা-বিক্রেতারা এতে অংশ নেন। ফেয়ারের মাধ্যমে দেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতে গড়া নিত্যনতুন ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
জিসিজি /ইএসএস/এসসিএফআর