ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজৈরে শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষক বরখাস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
রাজৈরে শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষক বরখাস্ত

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার রাজৈরে শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগে গৌতম চন্দ্র দাস নামের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ৪২ নম্বর খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্কুলে আসেন রাজৈর উপজেলার ৪২ নম্বর খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস। স্কুলে এসেই তিনি আবার বাসায় চলে যান। পরে ১১টার দিকে আবার স্কুলে আসেন। এ সময় ক্লাস না নিয়ে বাসায় চলে যাওয়ার কথা শিক্ষিকা ফুলমালা জিজ্ঞেস করায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গৌতম চন্দ্র দাস চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে ফুলমালাকে আহত করেন। পরে তাকে সহকর্মীরা আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় রাজৈর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপা বিশ্বাস অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনয় কৃষ্ণ বাড়ৈ।

নির্যাতিতা শিক্ষিকা ফুলমালা বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে গৌতম চন্দ্র দাস আমাকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়েছেন। আমি তার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস বলেন, ফুলমালা আমাকে আগে আঘাত করেন পরে আমি তাকে মারধর করেছি।

প্রধান শিক্ষক বিনয় বাড়ৈ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

রাজৈর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপা বিশ্বাস বলেন, শিক্ষিকা ফুলমালাকে মারধরের ঘটনা শুনে এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে জেলা প্রাথমিক স্যারকে জানিয়েছি। এবং অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও  তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।