ময়মনসিংহ: জেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে বাসের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে এক পরিবারের তিনজনসহ ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। তবে এখনও অজ্ঞাত রয়েছে একজনের নাম-পরিচয়।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার আলালপুর নামকস্থানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ফুলপুর উপজেলার চর আশাবট গ্রামের বাবলু আহমেদ (৫৫), স্ত্রী শীলা আক্তার (৪০) ও ছেলে সাদমান আহমেদ (১০), সিএনজিচালক ফুলপুর উপজেলার দিও গ্রামের আল আমিন (২৫), ধোবাউড়া উপজেলার উত্তর ডোমঘাটা গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৫০), ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর গ্রামের আব্দুল বারেক মণ্ডল (৪৮) এবং অজ্ঞাত আরও একজন।
কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যাত্রীবাহী একটি সিএনজি ফুলপুর থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাস সামনে থেকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজিচালকসহ সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, সিএনজিটি ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। এ সময় তারাকান্দাগামী একটি মাহেন্দ্রকে যাত্রীবাহী সিএনজিটি পাশ কাটিয়ে ওভারটেক করে হঠাৎ দ্রুতগামী বাসের মুখোমুখি পড়ে যায়। এরপর বাসটি প্রায় ৩০ গজ সামনে গিয়ে ব্রেক করে। এতে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজির সবাই মারা যান।
এদিকে শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এই দুর্ঘটনায় দুই পাশের অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সড়কের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৭
আত্মীয়ের জানাজায় যাওয়ার পথে লাশ হলেন তিনজন
২০ হাজার টাকা করে পাবে নিহতদের পরিবার, তদন্ত কমিটি
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসআইএ