ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গ্রাহকের ‘২০ কোটি টাকা নিয়ে’ বিদেশে পালাতে চেয়েছিলেন এনজিওর মালিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
গ্রাহকের ‘২০ কোটি টাকা নিয়ে’ বিদেশে পালাতে চেয়েছিলেন এনজিওর মালিক

নওগাঁ: নওগাঁয় এনজিও খুলে প্রতারণার অভিযোগে মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ (৪৩) ছয়জনকে আটক করেছে র‌্যাব।  

আব্দুর রাজ্জাক ডলফিন সেভিংস অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খুলে গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বলছে, আব্দুর রাজ্জাক টাকাগুলো নিয়ে দুবাইগামী ফ্লাইটে করে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। এর আগে শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার তারাব বাসস্ট্যান্ড এবং নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- নওগাঁর ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩২), আব্দুল মজিদের ছেলে রিপন (১৮), রজাকপুরের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে পিয়ার আলী (৪০) ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম (৩৫) এবং ইকরতারা এলাকার লায়ের উদ্দিনের ছেলে আতোয়ার রহমান আতা (৬০)।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে ফতেপুর বাজারে ডলফিন নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। এরপর গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতিমাসে এনজিও থেকে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন। তাদের প্রলোভনে ওই এনজিওতে এলাকার অনেকেই বড় অংকের টাকা জমা রাখেন। প্রথম তিন মাস গ্রাহকরা জমানো টাকার মুনাফা পেলেও পরে মুনাফা বন্ধ হয়ে যায়।

মুনীম ফেরদৌস আরও বলেন, এরপর হঠাৎ করেই সংস্থাটির পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক অফিসে তালা ঝুলিয়ে তিন শতাধিক গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান। খবর পেয়ে র‌্যাব-৫ এবং র‌্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে গোপন সংবাদে নারায়ণগঞ্জ থেকে আব্দুর রাজ্জাককে আটক করা হয়। তিনি টাকাগুলো নিয়ে দুবাইগামী ফ্লাইটে করে দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। পরে তার বোন, স্ত্রী, এনজিওর সভাপতি, ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, তথ্য মতে, এ ছয়জন এলাকার জনসাধারণের কাছ থেকে এক লাখ টাকায় দুই হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা বলে তিন শতাধিক গ্রাহককে টাকা সঞ্চয় রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছিলেন।

আটক করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রাজ্জাক স্বীকার করেন যে টাকা নিয়ে তিনি দুবাই পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  

টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গ্রাহকরা তার নামে আগেই নওগাঁ সদর থানায় মামলা করেছেন। আটক ছয়জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।