ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফতুল্লায় আর্থিক লেনদেনে ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
ফতুল্লায় আর্থিক লেনদেনে ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রানা হোসেন হত্যার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেনকে (২০) ঢাকার শ্যামপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে র‍্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

র‍্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এবং র‍্যাব-১০, সিপিএসসি এর যৌথ অভিযানে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানাধীন সিএসআরএম ডেইরি ফার্মের সামনে রাস্তার ওপর থেকে বস্তবন্দি অর্ধগলিত অবস্থায় একটি মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহের পরিচয় উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে ডিএনএ সংরক্ষণের আবেদনসহ মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করে। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদপত্রে প্রচারের মাধ্যমে ভিকটিমের ছবি ও পরিহিত পোশাক দেখে তার পরিবার শনাক্ত করে মরদেহটি ঢাকার কদমতলীর শ্যামপুর ব্রিজের জুরাইন এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. রানার (২৮) বলে জানায়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত জুরাইন এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাব্বির হোসনকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি সাব্বির এবং ভিকটিম রানা পূর্ব পরিচিত এবং একই এলাকার বাসিন্দা। সাব্বির ও সাব্বিরের ভাই সাজ্জাদ এবং ভিকটিম রানা তাদের নিজেদের মধ্যে টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য আসামি সাব্বিরের বাসায় একত্রে মিলিত হয়।

টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাব্বির এবং তার ভাই সাজ্জাদ চাকু দিয়ে ভিকটিম রানার বুকে আঘাত করলে ভিকটিম রানা মাটিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে আসামিরা ভিকটিম রানার মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরও একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে আসামি সাব্বির এবং তার ভাই সাজ্জাদ ভিকটিম রানার হাত, পা রশি দিয়ে বেঁধে কম্বল মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে ২-৩ দিন সাব্বিরের রুমে লুকিয়ে রাখে।

পরে ৯ ডিসেম্বর ভোরে সাব্বির এবং তার ভাই সাজ্জাদ ফতুল্লা মডেল থানাধীন মুন্সিবাগ এলাকার সিএসআরএম ডেইরি ফার্মের সামনে বস্তাবন্দি মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হলে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

আসামি সাব্বিরের বিরুদ্ধে ডিএমপি কদমতলী থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা চলমান রয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।