ঢাকা: রোম-ভিত্তিক বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডাব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ডব্লিউএফপিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জনাব মো. মনিরুল ইসলামের ডব্লিউএফপি প্রধানের কাছে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন মিয়ানমার সরকার কর্তৃক জাতিগত নিধন ও গণহত্যার কারণে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদেরকে (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম ডব্লিউএফপির স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনু্ষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার উচ্চ ধারণার জন্য নির্বাহী পরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কার্যক্রমকে বহুমাত্রিক, দীর্ঘস্থায়ী ও অত্যন্ত কার্যকর উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ‘স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’ এবং ‘চালের গুণগত মান উন্নয়ন’ কার্যক্রমে সরকারের আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে নির্বাহী পরিচালককে অবহিত করেন। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ডব্লিউএফপির অভূতপূর্ব সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর তাদের নিজ ভূমিতে নিরাপদ, নিশ্চিত এবং সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে ডব্লিউএফপির নির্বাহী বোর্ডের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জন্য ২০২২-২০২৬ মেয়াদে সিএসপির অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন ও সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সিএসপি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে উন্নয়ন সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ডব্লিউএফপি-কে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান।
ডব্লিউএফপির সদর দফতরে ১৯ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ‘সেভিং অ্যান্ড চেঞ্জিং লাইভস ওয়ার্ল্ডওয়াইড’-এর ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা: ২ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এবং ডব্লিউএফপি উভয়েরই একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. জসীম উদ্দিন, ডব্লিউএফপির বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার এবং ডব্লিউএফপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
টিআর/এসআইএ