ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এগুলো দুষ্টু প্রশ্ন নেত্রী, উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই: মোজাম্মেল বাবু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
এগুলো দুষ্টু প্রশ্ন নেত্রী, উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই: মোজাম্মেল বাবু

ঢাকা: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ‘প্রশংসা এড়ানোর জন্য’ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে যেসব প্রশ্ন করা হয় সেগুলোকে ‘দুষ্টু প্রশ্ন’ বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু। তিনি এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন মোজাম্মেল বাবু। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু তার প্রশ্নের সময় বলেন, আমাদের এত উৎপাদন বাড়ছে, তারপরও বাজারে অভাব কেন? মানুষের যে ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, মধ্যবিত্ত কত বড় হয়েছে, যারা ডিম খাওয়ার স্বপ্ন দেখে নাই, তারা ডিম খাচ্ছে। এটা স্বীকার করতে হলে শেখ হাসিনার অর্থনীতির প্রশংসা করতে হবে দেখে তারা (বিরোধীপক্ষ) উল্টা প্রশ্ন করে- সব আছে, দাম কেন? তারা একটা প্রশংসা এড়ানোর জন্য এই পঁচা প্রশ্নটা করে। মধ্যবিত্তদের যে উন্নয়ন ঘটেছে, শেখ হাসিনার অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে, তিনি যে এত মানুষকে উপরে এনে তুলেছেন, এই একটা অস্বীকৃতির জন্যই সব আছে, দাম কেন, এই কেন, সেই কেন, এগুলো দুষ্টু প্রশ্ন নেত্রী। এগুলোর উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই আপনার (প্রধানমন্ত্রী)।
 
এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আরও বলেন, ২০২৪ সালে নতুন শ্রেণীর রাজাকার তৈরি হয়েছে। তাদেরও চিহ্নিত করা প্রয়োজন। যারা বাংলাদেশটাকে চিরতরে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল, কিছু পরাশক্তি মিলে।

জার্মানির মিউনিখে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছিল বলেও জানান মোজাম্মেল বাবু। তিনি বলেন, আমরা তাদের বলেছিলাম উনি সরকারি কর্মচারী, ওই ব্যাংকের টাকা দিয়ে গ্রামীণ কল্যাণ বানিয়েছেন, সেই টাকা দিয়ে গ্রামীণ টেলিকম বানিয়েছেন, টেলিকমের টাকা দিয়ে গ্রামীণ ফোন বানিয়েছেন। গ্রামীণ ফোনের ডিভেডেন্ট টেলিকমে, সেটা ফেরত যাওয়ার কথা নারীদের কাছে। কিন্তু সেটা দিয়ে ৫৪টা কোম্পানি বানানো হয়। মানি লন্ডারিংয়ের বিরাট নেটওয়ার্ক। এটা বোঝাতে আর্কিটেক্ট লাগবে। খুব জটিল। কিন্তু আমরা সেটা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্ববাসীর কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র, ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ড, ২১ আগস্ট, ১/১১, এগুলো নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) হেলা না করে শ্বেতপত্র করা দরকার ইতিহাসের জন্য। পূর্ণাঙ্গ চিত্র না হলে মানুষ বুঝতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।