ফরিদপুর: লেজার পার্লারে চাকরি নেন রুনা লায়লা (৩০) নামে এক নারী। পরে পার্লার মালিকের স্বামীকে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে ১৫ দিনেই ফ্ল্যাট, গাড়ি, ব্যবসা সবই হাতিয়ে নিতে যাচ্ছিলেন বলে রুনার বিরুদ্ধে অভিযোগ শান্তা ইসলামের (পার্লার মালিক)।
এদিকে অভিযুক্ত রুনার দাবি, পার্লার মালিক শান্তার স্বামী তাকে অসামাজিক কার্যকলাপের প্রস্তাব দিতেন। এতে সম্মতি না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর শহরের অনাথের মোড়ের কাছে ‘ইয়াং লাইফ এস্থেটিক অ্যান্ড সেন্টারে’ এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত রুনা বিবাহিত। তার স্বামীর নাম রাসেল খান। তাই বিষয়টি নিয়ে রাসেলকে পার্লারে ডেকে এনে অভিযোগ দেন শান্তা ইসলাম। সব শুনে রাসেল তার স্ত্রী রুনাকে প্রকাশ্যেই মারধর শুরু করেন। সেদিনের ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রুনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রুনার বাবা সাহেব আলী মোল্যা বাদী হয়ে লেজার পার্লার মালিক শান্তা, তার স্বামী রুমন (৪০), ভাই নাসির (৩৪), স্বামী রাসেল এবং তানিয়া (২২) নামে একজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শান্তা ইসলামও বাদী হয়ে আরেকটি অভিযোগ করেন থানায়।
শান্তা বাংলানিউজকে বলেন, ফরহাদ নামে পরিচিত এক যুবকের মাধ্যমে গত মাসে রুনা লায়লাকে (অভিযুক্ত) চাকরি দেওয়ার অনুরোধ আসে। এরপর মেয়েটির অসহায়ত্ব বিবেচনা করে তাকে কাজ দেই। কিন্তু সে এই অল্প সময়ের মধ্যে আমার স্বামীকে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে সংসার ভাঙার চেষ্টা চালায়। এমনি কি হাতিয়ে নিতে যাচ্ছিলেন ফ্ল্যাট, গাড়ি, ব্যবসা সবই। এরই মধ্যে আমার কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা ও মোবাইলফোন হাতিয়ে নিয়েছেন রুনা। বিষয়টি ধরতে পেরে রুনার স্বামী রাসেলকে ডেকে সব জানাই। পরে রাসেল তার স্ত্রী রুনাকে আমাদের সামনেই মারধর শুরু করেন। সেসময় ঠেকাতে গেলে রাসেল আমাদেরও মারতে আসেন। তার পর বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি ও মারামারি হয়। সেসময় কাঠের বাটামের সঙ্গে আঘাত লেগে রুনার মাথা ফেটে যায়।
শান্তা আরও বলেন, এ ঘটনার পর রুনার পরিবার আমাদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে দাবি করা টাকা না দেওয়ায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। পরে আমরাও প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
এদিকে অভিযুক্ত রুনার দাবি, চাকরি শুরু পরই পার্লার মালিক শান্তা ইসলামের স্বামী রুমন তাকে অসামাজিক কার্যকলাপের প্রস্তাব দেন। এতে সম্মতি না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মারধর করে চাকরি থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়।
তবে হোয়াটসঅ্যাপে রুমনের সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। আবার চাকরি নিয়ে দেওয়া ফরহাদকে মামলার আসামি করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, লেজার পার্লারের মালিক শান্তা ইসলাম একটি অভিযোগ করেছেন থানায়। এছাড়া রুনার বাবাও একটি মামলা করেছেন। এছাড়া রুনার স্বামী রাসেলকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
এসআরএস