ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

থানচিতে ২২ পর্যটককে জিম্মি করে মোবাইল-টাকা ছিনতাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
থানচিতে ২২ পর্যটককে জিম্মি করে মোবাইল-টাকা ছিনতাই

বান্দরবান: বান্দরবানের থানচিতে ভ্রমণে আসা ২২ পর্যটকের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফ’র বিরুদ্ধে।  

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার দুর্গম ভেলাকুম পর্যটন স্পটে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় পর্যটকদের এক লাখ ৮১ হাজার টাকা ও ১৫টি মোবাইল ছিনতাই হয়েছে।

ভুক্তভোগী অনিক মোদক নামে এক পর্যটক জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের থানচি উপজেলার নাফাখুম পর্যটন স্পট ভ্রমণে যান ২২ জন পর্যটকের একটি দল। যার মধ্যে চারজন নারীও ছিলেন। পরে নাফাখুম ভ্রমণ শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি ভেলাখুম স্পটে ক্যাম্পিং করেন তারা। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আটজনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাদের ক্যাম্পে হানা দেয়। পরে তাদের সঙ্গে থাকা এক লাখ ৮১ হাজার টাকা ও ১৫টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। সন্ত্রাসীরা টাকা ও মোবাইল নিয়ে গেলেও কারও কোরো ক্ষতি করেনি।  

পর্যটক অনিক আরও জানান, সন্ত্রাসী যে দলটি তাদের টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের কয়েকজনের পরনে জলপাই রঙের মতো পোশাক এবং পোষাকে ব্যাজে কেএনএফ লেখা ছিল।  

সোমবার দুপুরে (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী পর্যটকেরা থানচি সদরে এসে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অবগত করেন।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পর্যটকেরা আমার কার্যালয়ে এসে ব্যাপারটি জানালে তাদেরকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জসীম জানান, ২২ পর্যটক সবাই রেমাক্রী পর্যন্ত ভ্রমণে যাবে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছিল কিন্তু অতি উৎসাহী হয়ে তারা নিরাপত্তা না নিয়েই আমিয়াখুম ও বেলাখুম চলে যান।  

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় পথ প্রদর্শকের (গাইড) কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা এবং বিষয়টি সার্বিক তদারকির জন্য পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করেছে।  

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পাহাড়ে ভ্রমণের সময় প্রত্যেক পর্যটককে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ভ্রমণ করা এবং অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট স্পট ব্যতীত পাহাড়ে ভ্রমণ না করতে অনুরোধও জানান তিনি।

এদিকে এই ঘটনার পর পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সশস্ত্র দল কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।