ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জিপগাড়ি প্রতীকে ভোট চাইলেন ঘোড়ার প্রস্তাবকারী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
জিপগাড়ি প্রতীকে ভোট চাইলেন ঘোড়ার প্রস্তাবকারী

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন ঘিরে অনুষ্ঠিত সভায় চেয়ারম্যান পদে জিপগাড়ি প্রতীকে ভোট চাইলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ঘোড়া প্রতীকের প্রস্তাবকারী।  

একই সভায় জিপগাড়ি প্রতীকের জন্য দোয়া করলেন ঘোড়ার সমর্থকও।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কামারখন্দ উপজেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে জিপগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী শামীম তালুকদার লাবুর মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে।  

উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখের সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সম্পা রহমান, রায়দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ও ভদ্রঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বক্তব্য রাখেন।  

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, বদরুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারি শেখসহ সিনিয়র নেতারা ছাড়াও
কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মকবুল হোসেন মুকুলের প্রস্তাবকারী সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা জিপগাড়ির জন্য ভোট চান। ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনকারী কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ সবুজও তার বক্তব্যে জিপগাড়ির জয়ে দোয়ার কথা বলেন।

জানা যায়, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরীর স্বামী শামীম তালুকদার লাবু (জিপগাড়ি) এবং মালয়েশিয়া আ.লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল (ঘোড়া)।  

এ দুই প্রার্থীর প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন।

মকবুল হোসেন মুকুলের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা ও সমর্থনকারী কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ সবুজ।  

কিন্তু কামারখন্দের জিপগাড়ির মতবিনিময় সভায় তারা দুজনই উপস্থিত থেকে জিপগাড়ির জন্য ভোট প্রার্থনা করেন।  

ওই সভায় উপস্থিত থাকা কামারখন্দ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা জানান, সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা সরাসরি জিপগাড়ির পক্ষে ভোট চেয়েছেন। শহীদুল্লাহ সবুজ তার বক্তব্যে জিপগাড়ি প্রতীকের পক্ষে দোয়া করেছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য দোয়া করার কথা স্বীকার করেছেন কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ সবুজ।  

ঘোড়া প্রতীকের এ সমর্থক বলেন, আমার উপজেলায় সব নেতারা এলে আমাকে যেতেই হয়। লাবু আমার ছোটবেলার বন্ধু। আমি বলেছি বন্ধুর জন্য দোয়া করতে পারি। যেহেতু মুকুল আমার ভাতিজা। আমার বাড়ির মধ্যে প্রার্থী। তাকে সমর্থন ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই।

সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, আমি যখন মুকুলের প্রস্তাবক ছিলাম তখন লাবু প্রার্থী হয় নাই। লাবু শেষ দিনে প্রার্থী হয়েছে। আমি পর্যালোচনা করে দেখলাম আমার পৌরসভার উন্নয়নের জন্য এমপিকে দরকার। ৮ বছরে সাবেক এমপির সহায়তা পাই নাই। মুকুল আমার আত্মীয় ও ব্যবসায়িক পার্টনার, তাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলেছিলাম। আমি
উন্নয়নের স্বার্থে লাবুকে সমর্থন করেছি।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, মেয়র জিপগাড়ি প্রতীকে ভোট চেয়েছেন আমি শুনেছি। তবে কেন তিনি অন্য প্রার্থীর ভোট চাইলেন সেটা আমার জানা নেই।

শামীম তালুকদার লাবু বলেন, সিরাজগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা আমার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ আমার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ইনশাল্লাহ জিপগাড়ি প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।