ঢাকা: আগামী ১০ মার্চ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কনভোকেশনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তুষার হাওলাদারের। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না তার।
তুষারের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামে। বাবার নাম দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার। পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায়। দুই ভাই বোনের মধ্যে বড় ছিলেন তিনি।
তুষার সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে চাকরি জীবন শুরু করেছেন। প্রযুক্তি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান স্টার টেকে ভিডিও অ্যান্ড সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরআগে ইন্টার্ন করেছেন একটি অনলাইন মিডিয়ায়।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তুষারের মরদেহ নিতে আসা স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, আগামী ১০ মার্চ শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনভোকেশনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমার অফিস শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে। ছেলের অফিস ছিল বাংলামোটর। প্রতিদিন অফিস শেষে আমরা একসঙ্গে বাড়ি যেতাম। গতকাল রাতে বাসায় যাওয়ার আগে ছেলেকে কল দেই। ছেলে জানায় তার অফিসের একটা অনুষ্ঠানের জন্য খাবার অর্ডার দিতে বেইলি রোডে গেছে। আমাকে বাসায় চলে যেতে বলল। এরপর আর তাকে ফোনে পাইনি। হঠাৎ সকালে পুলিশ ফোন দিয়ে বলল আমার ছেলে মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেইলি রোডের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে৷ ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন এবং ঢামেকে দুইজন ও শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৪
এসসি/এসআইএ