ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড

মেয়ের বাঁচার আকুতি রাখতে পারেননি পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শামীম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
মেয়ের বাঁচার আকুতি রাখতে পারেননি পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শামীম

ফরিদপুর: রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে খাবারের দোকানে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী লামিশা ইসলামকে দাফন করা হয়েছে ফরিদপুরে। লামিশা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিরুল ইসলাম শামীমের মেয়ে।

মৃত্যুর আগে বাবার কাছে সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিল লামিশা। কিন্তু তাকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি।  

শুক্রবার (১ মার্চ) বাদ জুমা ফরিদপুরের চকবাজার জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে আলীপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনসহ পরিচিতরা।

এর আগে চকবাজার মসজিদে অনুষ্ঠিত জানাজায় সদর আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লিরা অংশ নেন।

এদিকে আলীপুর গোরস্থানে লামিশাকে দাফন শেষে পরে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ ও ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে পিবিআইর পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় তার কবরে।

এর আগে শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুলিশের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে লামিশার মরদেহ ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাড়িতে আনা হয়।  

নিহত লামিশার চাচা রফিকুল ইসলাম সুমন সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লামিশা বেইলি রোডের সাততলা ভবনের ‘কাচ্চি ভাই’ নামে খাবারের দোকানে যায় বান্ধবীদের সঙ্গে। এরপর সে ফোন করে তার বাবাকে জানায়, বাবা আগুন লাগছে আমাকে বাঁচাও।

রফিকুল বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়।  তারপর থেকে যতবারই আমরা তার মোবাইলে ফোন করেছি, সেটি বন্ধ পেয়েছি। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম তার মরদেহ উদ্ধার করে।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের সাততলা ভবনটিতে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২২ জন। তারা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিহত লামিশা বুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ভিকারুন্নেসা থেকে এসএসসি ও হলিক্রস থেকে এইচএসসি পাস করে সে। দুই বোনের মধ্যে লামিশা বড়। ছোট বোন রাইশা এ বছর ভিকারুন্নেসা কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। অসুস্থতাজনিত কারণে ২০১৮ সালে মারা গেছেন লামিশার মা আফরিনা মাহমুদ মিতু। এরপর ছোট বোন আর বাবাকে আগলে রাখতেন লামিশা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।