ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভাসানচর পৌঁছাল আরও ১২৪২ রোহিঙ্গা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৪
ভাসানচর পৌঁছাল আরও ১২৪২ রোহিঙ্গা

নোয়াখালী: ২৪তম ধাপে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে আরও ১ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গা।

এর মধ্যে ভাসানচর থেকে বেড়াতে যাওয়া ১১০ জন রয়েছেন।

এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল প্রায় ৩৬ হাজার।

শুক্রবার (০১ মার্চ) বিকেলে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নেওয়া হয়।

নৌবাহিনী সূত্র জানায়, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা পেঙ্গুইন, ডলফিন, টুনা ও বানৌজা তিমি নামে চারটি জাহাজে করে ১ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়।

শুক্রবার বিকেলে রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌ-বাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে তাদের ৯২, ৯৩ ও ৯৪ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

ভাসানচর ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. রফিকুল হক জানান, নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌ-বাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ৯২, ৯৩ ও ৯৪ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ভাসনচর) মো. মাহফুজার রহমান (উপসচিব) জানান, ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দিতে গো অ্যান্ড সি ভিজিট এর আওতায় যাওয়া ১১০ জনসহ মোট ১ হাজার ২৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে এসেছেন। কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ আশ্রয় শিবির থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ভাসানচরে ৩৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া জানান, কক্সবাজার থেকে ভাসানচর আসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা আসেন। তারপর মোট ২৩ ধাপে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা এসেছেন।

জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।