লক্ষ্মীপুর: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জনপ্রিয় আলেম, ইসলামি আলোচক ও বক্তা মাওলানা লুৎফর রহমান।
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর রাজ্জাকিয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে এলাকাবাসীসহ দূরদূরান্ত থেকে আসা তার ভক্ত-অনুসারীরা অংশ নেন। জানাজায় মানুষের ঢল নামে। এতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। তার বিদায় মুহূর্তে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে বদরপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ-মাদরাসা প্রাঙ্গণে। জানাজা শেষে বদরপুর গ্রামে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
দ্বিতীয় জানাজায় ইমামতি করেন চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদের রাসুল (সা.) মাওলানা আনোয়ার হোসাইন তাহেরী জাবেরী আল মাদানী।
জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের জেনারেল সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহ সেক্রেটারি এটিএম মাসুম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি রুহুল আমিন, শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ড. রেজাউল করিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বিপ্লব, করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মির্জা, বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
মাওলানা লুৎফর রহমানের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে।
কর্মজীবনে তিনি রাজখালি আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে প্রার্থী হন।
লুৎফর রহমান বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ইসলামি আলোচক হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়। দেশব্যাপী তার পরিচিতি রয়েছে। সারাদেশে অসংখ্য গুণগ্রাহী রয়েছে প্রবীণ এ বক্তার।
তার মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন অনেকেই। রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন ভক্তরা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্যথা অনুভব করেন মাওলানা লুৎফর রহমান। তাৎক্ষণিক তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৪
আরএ