ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রাণ গোপালের নামে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভেজাল ওষুধ বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
প্রাণ গোপালের নামে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভেজাল ওষুধ বিক্রি

ঢাকা: কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে যৌন উত্তেজক, ডায়াবেটিসসহ নানা ওষুধ বিক্রির দায়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. জহুরুল ইসলাম (৪১), সাবিদ চৌধুরী (৩৩), হাসিব চৌধুরী (২৭), মোহাম্মদ আলী (৪১), রাফিদ ইসলাম নুহিন (১৯) ও জাকির নাসের (২২)।

ডিবি জানায়, প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সরল-বিশ্বাসে এসব ওষুধ কিনে প্রতারিত হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নজরে আসার পর ঢাকার কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পায় ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। এরপর যশোর ও রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে, ১৪০ বোতল ৬৪ ডায়া-ফিক্স, ৪১০ বোতল বুস্টার বক্স, লেবেল ছাড়া সবুজ রংয়ের ক্যাপসুলের বোতল- ৩৭০টি, ডাই-ফিক্স, প্রিমিয়াম হারবাল ফর্মুলা লেবেল ৩০টি, জিংকো হিলোবা নামক যৌন উত্তেজক ১০০ গ্রাম পাউডার, বিভিন্ন ওষুধ ও সাপ্লিমেন্ট তৈরির ফরমুলা লেখা একটি ডায়েরিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম।

ডিবি জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণামূলক এ ব্যবসায় জড়িতরা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। কেউ অনার্স, মাস্টার্স, এমবিএ ও এমএসসি পাস করা। তাদের মাসিক আয় ৩৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, স্বনামধন্য চিকিৎসক প্রাণ গোপাল দত্তের নাম ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল মানুষজনের বিশ্বাস অর্জন। তারা যৌন উত্তেজক কেমিক্যাল মিশিয়ে শক্তিবর্ধক হিসেবে উল্লেখ করে ইচ্ছামত ওষুধ তৈরি ও বিক্রি করেন। প্রতারণার মাধ্যমে তারা কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন।

ডা. প্রাণ গোপালের নামের ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকেও তারা আগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাণ গোপাল দত্তের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ছয়জনকে আদালতে পাঠানোর পর আমরা রিমান্ডে এনেছি। জিজ্ঞাসাবাদের তারা সবকিছু স্বীকার করেছেন।

ডিবি প্রধান পরামর্শ দিয়ে বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন নয়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ কেনা উচিত। বিজ্ঞাপন দেখলে বা প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়লে আমাদেরকে জানান। তাহলে ডিবি এ নিয়ে কাজ করবে। আর ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিএসটিআই বা ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদিত কি না, তা দেখে নিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।