ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লন্ডনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৪
লন্ডনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর) -এর মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল মূলত বাঙালির স্বাধীনতার ঘোষণা। কিন্তু এ ঘোষণা তিনি তার অসধারণ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে দিয়েছেন বলেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা ধারণ করেই আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন।

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ঐতিহাসিক ভাষণটি ছিল মূলত বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র ও মুক্তির সনদ। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এর শ্রেষ্ঠত্ব ও গুরুত্ব আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আজ হতে শতবর্ষ পরেও এ ভাষণ সব দেশের সব নিপীড়িত ও স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির দিক-নির্দেশনা হয়ে থাকবে।

হাইকমিশনার ইউনেস্কো থেকে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটির ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ও ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এজন্য তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

লন্ডন মিশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আইরিশ, স্কটিশ ও ওয়েলস ভাষায় প্রকাশ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এ তিন ভাষায় অনেক সমাদৃত হয়েছে।  

এ প্রসংগে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে লন্ডন মিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী টক’-এ নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন বঙ্গবন্ধুকে তার ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল আদর্শের জন্য বিশ্ববন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিভিন্ন দেশের মহান নেতাদের ঐতিহাসিক বক্তৃতার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটিকে অতুলনীয় ভাষণ হিসেবে অভিহিত করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, কাউন্সিলর মঈন কাদরি, যুক্তরাজ্যে ৭ মার্চ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আনসার আহমদ উল্লাহ, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির শাহিনা আক্তার, আবদুল আহাদ চৌধুরী ও সেলিম আহমেদ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎর্সগ করে নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত কবিতা “স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো" আবৃত্তি করেন শহিদুল ইসলাম সাগর।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে এ উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার  এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।  

এ উপলক্ষে হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে একটি বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

সকালে হাইকমিশনার হাইকমিশন প্রাঙ্গণে মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩  ঘণ্টা,  মার্চ ৮,  ২০২৪
টি আর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।