ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রমজানে সুলভমূল্যে মাছ-মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
রমজানে সুলভমূল্যে মাছ-মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন

ঢাকা: রমজানে জনসাধারণের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে রাজধানীর ৩০টি পয়েন্টে ট্রাকে করে মাসব্যাপী দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিক্রির ব্যবস্থা চালু করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রয় করা হবে।

রোববার (১০ মার্চ) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রথম রমজান থেকে শুরু করে ২৮ রমজান পর্যন্ত ট্রাকে করে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংস রাজধানীর ২৫টি স্থানে বিক্রি করা হবে।  তাছাড়া স্থায়ী বাজারে আর ৫টি স্থানসহ মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে। পণ্যগুলো বিক্রির জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল নয়টার মধ্যে পণ্যগুলো নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।  

মন্ত্রী বলেন, কার্যক্রমটি তদারকি ও মনিটরিং করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।  

গরু, খাসি ও মুরগির মাংস এবং দুধ, ডিম ও মাছের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে এসব পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী এসময় মন্তব্য করেন।  

আব্দুর রহমান বলেন, আমরা মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে অচিরেই দুধ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো। বর্তমান সরকার চাহিদা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নির্দেশনায় এ সেক্টরের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। যার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণ তার সুফল পাচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার পণ্যের গুণগত মানের দিকে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে বলে মন্ত্রী জানান।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রুই-মাছ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা করে বিক্রয় করা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল  ৩টা পর্যন্ত মাছ বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।  ১১ মার্চ থেকে রমজান মাসের ১৫ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন মাছ বিক্রয় করা হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলো এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে।  

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
জিসিজি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।