ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ক্রেতা টানছে মুখরোচক স্বাদের কাবাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
ক্রেতা টানছে মুখরোচক স্বাদের কাবাব

রাজশাহী: সংযমের মাস রমজানেও একটু ভিন্ন স্বাদের খোঁজে থাকেন ভোজনরসিক রোজাদাররা। তাই রোজা শুরু হতেই পড়ন্ত বেলায় তারা ঢুঁ মারছেন রেস্তোরাঁপাড়ায়।

আর এবার শুরুর দিন থেকেই ক্রেতা টানছে অভিজাত রেস্তরাঁগুলোর মুখরোচক কাবাব আইটেম। রোজার দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৩ মার্চ) লম্বা লাইন দিয়ে কিনতে দেখা গেছে এসব কাবাব। বেলা গড়িয়ে বিকেল গড়াতেই ভিড় যেমন বাড়ছে তেমন চলছে কেনাবেচাও।

রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় থাকা অভিজাত রেস্তোরাঁ চিলিসের বিশেষ আকর্ষণ ইফতারেরও আকর্ষণ হয়ে উঠছে বলে জানান রেস্তোরাঁর ক্যাশ ইনচার্জ মোহাম্মাদ বাবু। তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও ক্রেতা সন্তুষ্টিই তাদের প্রথম লক্ষ্য। আর তাই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি স্পেশাল কাবাব নিয়ে প্রতিবছর রমজানেই তারা হাজির হন। এবারও তারা নিয়ে এসেছেন টারকিস চিকেন কাবাব। এর দাম পড়ছে প্রতিপিস ১০০ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে টারকিস চাপলি। এ কাবাব প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এবারের ইফতারে এ দুই কাবাবের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।

তিনি আরও বলেন, নতুনের তালিকায় রয়েছে রয়েছে- তান্দুরি চিকেন ও স্পেশাল মোরগ পোলাও। এ দুটি ইফতার পণ্য মিলছে প্রতিপিস ১০০ টাকা এবং ১৫০ টাকা ও ২৫০টাকা দরে। এছাড়া রয়েছে চিলিসের ঐতিহ্যবাহী খাসি ও গরুর শাহী হালিম, খাশির তেহারী, রেশমী জেলাপী ও বোম্বে জিলাপী।

এবার খাসির শাহী হালিম ১৫০-৩০০ (হাফ-ফুল) টাকা, গরুর শাহী হালিম ৮০-১৬০ (হাফ-ফুল) টাকা, খাশির তেহারী ১৫০ টাকা (হাফ) ও ২৫০ টাকা (ফুল) এবং রেশমী জেলাপী ৭৫ টাকা, ১৫০ টাকা (৫০০ গ্রাম) ও ৩০০ (১ কেজি) টাকা, বোম্বে জিলাপী ৭০ টাকা (৫০০ গ্রাম) ও ১৪০ (১ কেজি) টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে গ্রীল চিকেন ৩৫০ টাকা, গরুর শিক কাবাব ১০০ টাকা, নার্গিস কাবাব ৫০ টাকা, ফ্রাইড চিকেন ৫০ টাকা, দই বড়া ৩০ টাকা, খাসির কলিজার সিঙ্গাড়া ২০ টাকা, বিফ সাসলিক ৬০ টাকা, চিকেন সাসলিক ৫০ টাকা, খাসির ফ্রেস চপ ২৫ টাকা, খাশির শিক ৬০ টাকা, খাসির লিভার কাবাব ৬০ টাকা, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি ১৫০ টাকা ও ২৫০ টাকা, হট বিফ গ্রীল ১৫০ টাকা ও তাওয়া পরোটা প্রতি পিস ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ৮০ ও ১৬০ টাকায় লাচ্চি, বোরহানি ৭৫ টাকা ও ১৫০ টাকা ও লাবাঙ্গ ৮০ ও ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে নিত্যপণ্য সামগ্রীর দাম বাড়তি থাকায় এবার বেশ কিছু পণ্যের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে তা সহনীয় পর্যায়ের রয়েছে। বলেও জানান তিনি।

এদিকে রাজশাহীর অভিজাত রেস্তরাঁ মাস্টার শেফ, শেফ গার্ডেন, হোটেল ওয়ারিশান, রহমান’স বারবিকিউ, রহমানিয়া, রহমানিয়া-প্লাস ও ডলাস, বিন্দুসহ প্রথম শ্রেণির প্রায় সব রেস্তোরাঁই এ রমজানে বিশেষভাবে উপস্থাপন করছে বিভিন্ন কাবাব আইটেম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।