ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতীয় নাগরিক জিবরান হত্যায় ইয়াছিনের সাজা বহাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১২

ঢাকা: চট্টগ্রামে ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলার আসামি ইয়াছিন রহমান টিটুর যাবজ্জীবন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

বুধবার প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন।



প্রসঙ্গতঃ  টিটু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং কেডিএস` গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ছেলে।

আদালতে টিটুর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস। সরকার পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।

আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান,‘ইয়াছিন রহমান টিটুর আপিল আজ আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছেন। ’

এ বিষয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘রায়ের অনুলিপি দেখার পর মক্কেলের সঙ্গে কথা বলে পুনর্বিবেচনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, ভারতীয় নাগরিক ও চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি শিপিং কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিবরান তায়েবী ১৯৯৯ সালের ৯ জুন নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের সামনে খুন হন।

পরদিন জিবরানের সহকর্মী জেমস রায় ডাবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগ পত্রের আট আসামি হচ্ছেন- ইয়াছিন রহমান টিটু, মো. ওসমান আলী, আলী আকবর ওরফে দিদারুল আলম, জিল্লুর রহমান, জাহিদ হোসেন ওরফে কিরন, মো. সিদ্দিক, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই এবং আলমগীর।

২০০২ সালের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এই মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। এছাড়া ইয়াছিন রহমান টিটু, ওমর আলী ও আলমগীরকে খালাস দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলে ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ আদালত টিটু, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই ও আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। এছাড়া  নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া মো. সিদ্দিককে খালাস দেন হাইকোর্ট।

এ রায়ের পরে ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের আদালতে আত্মসমর্পন করেন টিটু। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। ১৭ অক্টোবর কারাগারে থেকেই তিনি আপিলের আবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময় :১৫৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০১,২০১২
এমইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।