ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবশেষে জেলা কারাগারেই ‘বিয়ে’ সম্পন্ন

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
অবশেষে জেলা কারাগারেই ‘বিয়ে’ সম্পন্ন

মৌলভীবাজার: অপরাধটি সংঘটিত হয়েছিল বহুদিন আগেই। অপরাধের পর থেকে অপরাধী ভিকটিম মেয়েটিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাতে থাকেন।

 

শুধু তা-ই নয়, ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাত করার জন্য তৎপরতা শুরু করেন। পরে ভিকটিম এবং তার পরিবার আইনের আশ্রয়ে গেলে গ্রেপ্তার হন অপরাধী। শুরু হয় তার জেল-হাজতের জীবন।  

অবশেষে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার এক আসামির সঙ্গে ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) বিয়ে হয়েছে।  

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী আসামি আশিষ বাউরী (৩৫) এবং কুঞ্জুমালের (২৫) বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার শাওন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।  

বুধবার (২০ মার্চ) মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

জানা যায়, আসামি আশিষ বাউরী রাজনগরের ২ নম্বর উত্তরভাগ ইউনিয়নের ইন্দানগর চা বাগানের সদানন্দ বাউরীর ছেলে। পাত্রী কুঞ্জুমাল একই ইউনিয়নের মৃৎ মনীষা মালের মেয়ে।  

রাজনগর উপজেলার ইন্দানগর চা বাগানে ভিকটিম কুঞ্জুমালের সঙ্গে আসামি আশিষ বাউরীর প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একটা পর্যায়ে কুঞ্জুমাল অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান।  

কুঞ্জুমাল বলেন, আমি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর আশিষ বাউরীর পরিবার বাচ্চা নষ্ট করতে বলে। আমি নষ্ট করিনি। আশিষ বাউরীও নষ্ট না করতে বলে। কিন্তু আমার মেয়ে জন্ম নেওয়ার পর সে সন্তানের স্বীকৃতি দিতে এবং আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে আমি ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট মামলা করি।  
বর্তমানে কুঞ্জুমালে তিন মাসের একটি সন্তান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ আদালত তাদের বিয়ের নির্দেশ দেন।  

আসামির পরিবার জানায়, আদালতের নির্দেশে এ বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের বৈধ প্রমাণাদি আদালতে দাখিলের পর আশিষ বাউরীকে জামিন দেবেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪ 
বিবিবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।