ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১১ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে: নৌ পুলিশ প্রধান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪
১১ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে: নৌ পুলিশ প্রধান

ঢাকা: নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, এবারে ঈদের আগে ও পরে মোট ১১ দিন সব ধরনের বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও শুধু রাতের বেলা স্পিড বোট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পুলিশ প্লাজায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌ পথের আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

নৌ পুলিশ প্রধান বলেন, ঈদে নৌপথ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নৌ পুলিশ আগামী ০৩ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।  

সভায় নৌ পুলিশ প্রধান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নৌ পুলিশ বদ্ধ পরিকর। পবিত্র ঈদে নৌ যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌ পুলিশ সদস্যরা সকল নৌ ঘাট, নৌ টার্মিনালগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন। নৌ পথে নিরাপত্তা বিধানে সকল নৌযানগুলোর চলাচলের বিষয়ে নৌ পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে।  

তিনি আরও বলেন, সময়ের চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কেউ যেন প্রতিযোগিতামূলক ভাবে বেশি যাত্রী বোঝাই করে বেশি স্পিড দিয়ে নৌযান না চালায়।

অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, নৌ পথে যেকোনো সমস্যায় নৌ পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর- ০১৩২০১৬৯৫৯৮ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধম্যে নৌ পুলিশকে অবগত করলে নৌ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপনে নৌ পথ ব্যবহারকারী প্রত্যেকেই যেন নিরাপদে তাদের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ সবসময়ই আপনাদের পাশে থাকবে।  

নৌ পথে নিরাপদ যাত্রাতে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো- 

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকা, লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার আনুপাতিক হারে লাইফ জ্যাকেট, বয়া প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান চালানো, সূর্যাস্তের পর বালুবাহী বাল্কহেড ও স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রাখা, ঈদ পূর্ববর্তী ৫ দিন, ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী ৫ দিনসহ মোট ১১ দিন বালুবাহী বাল্ক হেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, চাঁদাবাজি, চুরিসহ যেকোনো হয়রানি বন্ধে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করা, নৌযান চলাচলের পথে মাছ শিকারের জন্য জাল বিছানো প্রতিরোধ করা, বৈধ কাগজপত্র বিহীন কোনো নৌযান না চালানো, ন্যায্যমূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি, টার্মিনাল ব্যতীত নদীর যেকোনো জায়গায় অন্য কোনো ছোট নৌযান থেকে যাত্রী ওঠানো বা নামানো বন্ধ নিশ্চিতকরণ, সকল নৌযানে পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা।

সভায় বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বাঅনৌচ (যাপ), লঞ্চ মালিক সমিতি, নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্ক হেড শ্রমিক ইউনিয়ন, লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বাঘা বাড়ি, সুন্দরবন নেভিগেশন সদর ঘাট, এম কে শিপিং লাইন্সসহ নৌযান ও নৌপথের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও নৌ পুলিশের সকল অঞ্চলের পুলিশ সুপারসহ নৌ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪
এমএমআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।