ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নির্মাণাধীন ভবনের বাথরুমে পড়েছিল তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪
নির্মাণাধীন ভবনের বাথরুমে পড়েছিল তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ প্রতীকী ছবি

রাজশাহী: জেলায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের বাথরুম থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর (২৫) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।

তবে ক্ষতবিক্ষত ওই মরদেহটির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানায়, নিহত তরুণীর আনুমানিক বয়স ২৫ বছর হবে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য সেটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রামে নির্মাণাধীন একটি ভবনে স্থানীয়রা ওই তরুণীর মরদেহটি দেখতে পান। পরে তারা থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর দুপুরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. ওসমান বাংলানিউজকে জানান, সুরতহাল করার সময় নিহত তরুণীর পেট ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনগত রাতের পর যে কোনো সময় তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নির্মাণাধীন ভবনটি ওই গ্রামের পিয়াস নামের এক ব্যক্তির। একসঙ্গে ভবনের নিচতলা ও দোতলার কাজ চলছে। তাই ভবনটিতে কেউই থাকেন না। আর নিহত তরুণীর মরদেহটি তারা ভবনের দোতলার বাথরুমের ভেতর পড়ে থাকা অবস্থায় পেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত নিহত তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। কে বা কারা তাকে ওই নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে গিয়েছিল এবং তাকে এমন নৃশংসভাবে খুন করল বর্তমানে সেই রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে তারা মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন। এছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে নিহত ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ বাদী হয়ে এই ঘটনায় মামলা করবে। পরে পরিচয় মিললে সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রফিকুল আলম জানান, প্রথমেই তারা নিহত তরুণীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছেন। এ জন্য সিআইডি সদস্যরা নিহত ওই তরুণীর ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। অন্যান্য তদন্ত কাজও চলছে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। পরবর্তীতে কিছু পেলে, তখন এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪
এসএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।