ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিঝুম দ্বীপে পুকুরে মিলল ১ মণ ইলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
নিঝুম দ্বীপে পুকুরে মিলল ১ মণ ইলিশ

নোয়াখালী: জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে সেই পুকুরে এবার পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ মাছ। যার ওজন এক মণের ওপরে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে মাছগুলো ধরা পড়ে। এর আগে, গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) একই পুকুর থেকে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০টি পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আবদুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি। বিশাল এ পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে পানি কমে এলে জেলেরা জাল ফেলে পুকুরটিতে। এ সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে ইলিশ মাছও ধরা পড়ে। পরে সেগুলো ওজনে পরিমাপ করলে প্রায় ১০ কেজি হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে সেই পুকুরে পানি আরও কমে এলে জাল ফেলে আরও ১০০টি ইলিশ ধরা হয়, যার ওজন প্রায় ৪০ কেজি বা এক মণ। বিগত বছরগুলোয়ও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, নিঝুম দ্বীপ মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। দ্বীপে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। তাই জোয়ার এলে সহজেই প্লাবিত হয়। সেই জোয়ারের পানির সঙ্গে মেঘনার ইলিশ বিভিন্ন পুকুরে ঢুকে পড়ে। আজ বৃহস্পতিবার ১০০টি ইলিশ পেয়েছে, গতকাল বুধবার প্রায় ১০ কেজি পেয়েছে।

পুকুরের লিজ নেওয়া আবদুল মান্নান বলেন, আমি দীর্ঘসময় ধরে পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি। প্রতি বছর কম বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। ২০২২ সালে প্রথম ৩৫টি ইলিশ পেয়েছিলাম। এ বছর গতকাল পেয়েছি ১০ কেজি, আজকে ১০০টি ইলিশ পেয়েছি, ওজন ৪০ কেজি ওপরে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ জানান, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এলে নিঝুম দ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকুরটিও ছিল। মূলত, জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পরে বের হতে না পারায় মাছগুলো পুকুরে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান জানান, হাতিয়ায় পুকুরে ইলিশ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। নোয়াখালী উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো জোয়ারে প্লাবিত হয়। তখন ইলিশ প্রবেশ করায় বর্তমানে সেটি ধরা পড়ছে। নদীতে ইলিশ যেমন বৃদ্ধি পায়, পুকুরে তেমন বৃদ্ধি পায় না এবং স্বাদ ও আকৃতিও এক হয় না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে কোনো বেড়ি বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই প্লাবিত হয়। তখন হয়তো জোয়ারের সঙ্গে ইলিশ মাছগুলো পুকুরে প্রবেশ করেছে। পুকুরের মালিক পানি ধরে রেখে সেগুলোকে হয়তো সংরক্ষণ করে রেখেছে। এখন পুকুরের পানি কমিয়ে অন্যান্য মাছের সঙ্গে সেগুলো ধরা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।