ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে

পিরোজপুর: পিরোজপুরের বিভিন্ন নদ-নদীতে ঘুরছে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো সুন্দরবনের একটি কুমির। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে সুন্দরবনের স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমিরটি পিরোজপুরের বিভিন্ন নদ-নদীতে ঘুরছে। যে কারণে যারা নদীতে গোসল করেন বা অন্যান্য কাজ করে থাকেন, তারা পানিতে নামতে ভয় পাচ্ছেন।

লোনা পানির কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি গবেষণার জন্য সম্প্রতি সুন্দরবনের চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে অবমুক্ত করা হয়। এর মধ্যে তিনটি কুমির সুন্দরবন ও লবণাক্ত পানিতে ঘোরাঘুরি করলেও একটি চলে আসে পিরোজপুরের দিকে। এই অঞ্চল সাধু পানির এলাকা হিসাবে শনাক্ত।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিরটিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মধ্য থেকে যাওয়া তুষখালী নদীতে দেখেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় জেলে মো. শফিকুল ইসলাম শেখ জানান, তিনি বুধবার সকালে কুমিরটিকে ভাসতে দেখেছেন। তার পিঠের অংশে সাদা কিছু দেখেছেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছেন এটি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো সুন্দরবনের কুমির।

সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. আজাদ কবির বলেন, ১৫ দিন আগে সুন্দরবনের লবণাক্ত পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনটি কুমির সুন্দরবন এলাকায় অবস্থান করলেও একটি কুমির অন্যত্র চলে যায়। আমরা জানতে পেরেছি এখন ওই কুমিরটি রয়েছে পিরোজপুরের নদ-নদীতে।

তিনি বলেন, গত ১২ দিনে কুমিরটি ১০০ কিলোমিটার পথ ঘুরছে। নিজের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান পেতে তার এমন পথ চলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ১৩ মার্চ প্রথমে দুটি ও এর তিনদিন পরে আরও দুটি কুমির অবমুক্ত করা হয়। সেই দুটির একটি কুমির এটি।   অবমুক্ত করা চার কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি নারী।

এর আগে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছিল।   তারও আগে কচ্ছপের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
এমজে

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।