ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্রলীগ নেতাকে কবরস্থানে মারধর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
ছাত্রলীগ নেতাকে কবরস্থানে মারধর আহত ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল করিম খান তন্ময়

জামালপুর: বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন জামালপুর জেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল করিম খান তন্ময়।

জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর নির্দেশে তার ভাই লোকজন নিয়ে এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের পর জামালপুর পৌর কবরস্থানে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।  

আহত ওয়াহিদুল করিম খান তন্ময় শহরের শহিদ হারুণ সড়কের মৃত ফজলুল করমি খানের ছেলে।  প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।

আহত ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় জানান, জুমার নামাজ শেষে জামালপুর পৌর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করতে যান তিনি। জিয়ারত শেষে ফেরার সময় কবরস্থানের গেটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর ঘনিষ্ঠ সহকারী আল আমিন, জনি ও রুবেলসহ ১০ থেকে ১৫ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে তিনি কবরস্থানের ভেতরে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাঈম রহমান তাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

পৌরসভার মেয়রের লোকজন কেন হামলা করবে প্রশ্নে আহত তন্ময়ের বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মার্কেট এরিয়াতে মেয়র ছানুর বড় ভাই আনোয়ারের গাড়ির সঙ্গে আমার গাড়ির ধাক্কা লাগে। এরপর গাড়ির চালকের সঙ্গে আমার বাগবিতণ্ডা হয়। সেই ঘটনার জের ধরে মেয়র ছানুর নির্দেশে ও আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে আমার ওপর হামলা হয়। হামলায় আমি মাথায় আঘাত পাই। এছাড়াও শরীরের নানা জায়গায় আঘাত পেয়েছি।

আহত তন্ময়ের বড় ভাই রানা বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা ইফতারের পরে মামলা করব। আমি এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।  

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার আমি বাড়ি থেকেই বের হইনি। তন্ময়কে কে বা কারা মেরেছে আমি জানি না। গাড়ির ধাক্কার ঘটনাটি ওইদিন রাতেই তন্ময়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে শেষ করেছি। তন্ময়কে যদি মারতেই হয় তাহলে আমি অন্য লোকজনকে দিয়ে কেনো মারাব। আমি নিজেই তন্ময়কে শাসন করতে পারি।  

এদিকে হামলার প্রতিবাদে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আহত ছাত্রলীগ নেতার স্বজন ও এলাকাবাসী। মিছিলটি শহরের শহীদ হারুন সড়ক থেকে শুরু হয়ে তমালতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এসময় দোষীদের ২৪ ঘণ্টারর মধ্যে আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।  

এসব বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।