ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গণধর্ষণে জড়িত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৪
গণধর্ষণে জড়িত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্ত

সিলেট: সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে আড়াই মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় সিলেট নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতার নাম আবদুস সালাম (৪০)। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন।

সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুস সালামকে বহিষ্কার ও একই সঙ্গে ওই ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

গত ৭ জানুয়া‌রি থেকে প্রায় আড়াই মাস এক তরুণীকে (১৮) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অপর ব‌্যক্তি আবদুল মনাফ (৩৮) সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। গণধর্ষণের ঘটনায় গত ২৯ মার্চ রাতে কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় রেখা বেগম (৩০) নামে এক নারীর নামও উল্লেখ করেন তিনি। মামলার পর সব আসামি গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, নগরের নগরীর ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির বাসিন্দা ওই কিশোরীকে কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ২২ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুস সালাম ও তার সহযোগী আবদুল মনাফ। এ অপরাধে তাদের সহায়তা করেন রেখা বেগম। তিনি ফুসলিয়ে ভুক্তভোগীকে আবদুস সালামের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

২২ দিন বন্দী রাখার পর মুক্তি দিয়েও সালাম ভুক্তভোগীকে মনাফের সহযোগিতায় হবিগঞ্জে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সেখানে তারা দুজন ও অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে ভুক্তভোগীকে ফের গণধর্ষণ করেন।

প্রায় দুই মাস নির্যাতন সহ্য করার পর গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে আসে ভুক্তভোগী। পুরো ঘটনাটি মাকে খুলে বলে। পরে তার মা মামলা করেন। যদিও তাকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন শিপন বলেছেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের অবস্থান সনাক্তের চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৪
এনইউ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।