ঢাকা: ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে ডিএমপি সর্বদা তৎপর। ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকার বাইরে যাবেন। ওই সময়ে ঢাকা শহর ফাঁকা থাকে। তাই আমরা পরামর্শ দেব, নগরবাসী মূল্যবান জিনিসপত্রের বিষয়ে নিজেরা সজাগ থাকবেন এবং সচেতন থাকবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই রোধে আমাদের টিম কাজ করছে। ডিএমপির আট বিভাগে টাস্কফোর্সের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ডিসি ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর বর্তমানে ডিএমপিতে ছিনতাইয়ের হার নিম্নমুখী। অর্থাৎ কমতে শুরু করেছে।
ঈদের কেনাকাটার কারণে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরবাসী বাইরে থাকছেন। ফলে সড়কে গাড়ির চাপ থাকছে। কিন্তু রাতে ট্রাফিক সদস্যরা না থাকার কারণে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজানের শুরুতে এমনটি ছিল না। এখন দেখছি যে, মানুষ রাতে মার্কেট করছে। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ কেনাকাটা করায় দোকান ও মার্কেট খোলা থাকছে। আমরা এখন থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা যদি ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দেখি, তাহলে দেখবো দুর্ঘটনার বড় একটি অংশ মোটরসাইকেলে। সেই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে আমাদের কী করতে হবে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা যারা দূরের পথে যাবেন, তাদের আমরা নিষেধ করছি, তারা যেন কোনো অবস্থায় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে না যান।
তিনি বলেন, রাজধানীবাসীর অনেকেই মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়িতে যান। তাদের হয়তো নিজস্ব যুক্তি রয়েছে। কিন্তু ঈদের সময় সড়কে গাড়ির অনেক চাপ থাকে। ফলে আমি মনে করি, সেই সময়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ছোট যানবাহন এড়িয়ে বড় যানবাহনে যাতায়াত করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ০২ এপ্রিল, ২০২৪
এমএমআই/আরএইচ