সাভার: মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে কর্মস্থল ছাড়া শুরু করেছেন অনেকে। দলে দলে বাস টার্মিনালে আসছেন তারা, করছেন বাসের অপেক্ষা।
বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর ও জিরানীবাজার বাস স্ট্যান্ডে যায়, বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থল ছেড়ে বাস স্ট্যান্ডে আসছেন মানুষ। শেকড়ের টানে এবার গ্রামে ফেরার পালা। তবে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ চোখে পড়েনি।
আশুলিয়ার ইউনিক থেকে বাইপাইল বাস স্ট্যান্ডে নিজ বাড়ি জামালপুর যাওয়ার জন্য এসেছেন মাহবুব মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে এসেছি বাসস্ট্যান্ডে। এখনো কোনো গাড়ি পাইনি। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। সুযোগ পেয়ে একটু আগেভাগেই বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। যাতে একটু ভোগান্তি কম হয়। সবে মানুষ গ্রামে যাওয়া শুরু করেছেন এজন্য যানবাহন তেমন একটা সড়কে নেই। বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ বাড়বে বলেও ধারণা তার।
অপর যাত্রী শিরিনা বেগম বলেন, আমরা পরিবারের ৫ জন একসঙ্গে বাড়ি যাচ্ছি। আমরা পোশাক কারখানায় কাজ করি। অগ্রিম টিকেট করার কোনো সুযোগ আমরা পাই না। একটু আগেভাগে ছুটি পেয়েছি, তাই সবাই মিলে নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষা করছি। আমরা ফরিদপুর যাবো। এ লাইনে পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয় না। শুধু যানবাহন সংকটে পড়তে হয়। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির অপেক্ষা করছি, কিন্তু গাড়ি পাই না। এখন নবীনগর থেকে পাটুরিয়া গিয়ে নদী পার হয়ে আবার অন্য গাড়ি ধরে বাড়ি যাবো।
বাইপাইল হানিফ কাউন্টারের কাউন্টার মাস্টার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের টিকেট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের লোকাল যাত্রী নেওয়ার সুযোগ নেই। মাত্র মানুষ টার্মিনালে আসা শুরু করেছেন। এজন্য একটু গাড়ি কম। তবে সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়বে। সেক্ষেত্রে লোকাল গাড়ি সড়কে নামবে।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বলেন, ঘরে ফেরা মানুষ বাস টার্মিনালে আসা শুরু করেছে। ধীরে ধীরে যানবাহনের চাপ বাড়বে। আমরা মহাসড়কে রয়েছি। যানজট নিরসন ও নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
জেএইচ