ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেড়েছে যাত্রীর চাপ, বেড়েছে যানবাহনও

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
বেড়েছে যাত্রীর চাপ, বেড়েছে যানবাহনও

সাভার: ঈদের আগে শেকড়ের টানে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। রোববার (৭ এপ্রিল) দিনের শুরুতে সড়কে চাপ কম থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।

বিকেলে যানবাহন ও যাত্রী উভয় চাপই বেড়েছে। পোশাক কারখানার একাংশ ছুটি হওয়ার কারণেই যাত্রীর চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। সোমবার চাপ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর ও জিরানী বাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি স্ট্যান্ডে শত শত মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের লক্ষ্য ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামে যাওয়া।

ঈদ ঘিরে বছরে দুবার শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে গ্রামে যান শিল্পাঞ্চল সাভারের কর্মজীবী লাখ লাখ মানুষ। এ কারণে মহাসড়কে চাপ বাড়ে। সড়কে চাপ মোকাবিলা কিংবা যানজট নিরসনে চ্যালেঞ্জ নেয় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

ঈদের ছুটিতে ফরিদপুরে যেতে নবীনগর বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন মরিয়ম বেগম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজ থেকে ঈদের ছুটি পেয়েছি। আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। ছুটি পেয়েই বাসায় প্রস্তুত করা ব্যাগ নিয়ে রওনা করেছি। আজ ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে।  

তিনি বলেন, গাড়ির টিকিট করেছি অনেক কষ্টে। এত মানুষের ভিড়ে টিকিট কেনাটা যেন এক প্রকার যুদ্ধ। এই রুটে আগে অনেক সময় লাগতো। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা লাগতো। বিশেষ করে পাটুরিয়া ঘাটের আগে ব্যাপক যানজট হতো। তবে পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এখন বেশির ভাগ যানবাহন পদ্মা সেতু হয়ে যায়। ফলে পাটুরিয়া কিংবা আরিচা ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয় না। আমাদের ঈদযাত্রা এখন নির্বিঘ্ন বলা যায়।

অপর যাত্রী আরিফুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমি দিনাজপুর যাওয়ার জন্য বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। গতকাল আমার বন্ধুকে গাড়িতে তুলে দিতে এসেছিলাম। তেমন চাপ চোখে পড়েনি। তবে আজ তুলনামূলক অনেক বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। আমার টিকিট আগেই করা ছিল। তাই গাড়ির সমস্যা হয় নি। এমনিতেও আজ যাত্রীর সঙ্গে গাড়ির চাপও বেড়েছে কয়েকগুণ।  

শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার হাসান বলেন, আজ তুলনামূলক যাত্রী বেড়েছে। গত চার দিন ধরে আমরা অলস সময় পার করছি। যাত্রীদের কাছ থেকে আমরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করি না। যাত্রীরা আসার সঙ্গে সঙ্গেই চাহিদামতো সিট দেখে টিকিট নিশ্চিত করছেন। আজ লোকাল গাড়ির চাপও বেশি। এখন পর্যন্ত যাত্রীদের ভোগান্তি আমরা দেখিনি।  

কাউন্টার মাস্টার সজীব বাংলানিউজকে বলেন, আজ যাত্রী বেড়েছে। আগামীকাল ও পরশু যাত্রী আরও বেড়ে যাবে। যাত্রীর সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপও বেড়ে যাবে। এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মালিকপক্ষের কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এসব নির্দেশনা আমরা যথাযথ পালন করার চেষ্টা করছি। ঈদযাত্রা সবার আনন্দময় হোক, এ কামনা করি।

সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আক্তার বলেন, সড়কে যানবাহনের চাপ গত চারদিনের চেয়ে তুলনামূলক বেড়েছে। যাত্রীর সংখ্যাও বেশি। আমরা হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কাজ করছি। আশা করি, এবারের ঈদযাত্রাও ভোগান্তিহীন হবে।

ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের অ্যাডমিন (টিআই) হোসেন শহীদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে ২৪ ঘণ্টা ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক, কমিউনিটি পুলিশ সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছেন। আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করছি। চালক ও যাত্রীদের প্রতি আহ্বান, আমরা যেন যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করি, যত্রতত্র ওঠানামা না করি। আমাদের সহযোগিতা করলেই কেবল ঈদযাত্রা আনন্দময় ও ভোগান্তিহীন হবে বলে বিশ্বাস করি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।