ঢাকা (সাভার): সাভারের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। অতীতের তুলনায় যাত্রীর চাপ এবারই সর্বোচ্চ বলে দাবি চালক, কাউন্টার মাস্টারসহ স্থানীয় দোকানিদের।
যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ আর যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। সাভারের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ২৬ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যদিও হাইওয়ে পুলিশ বলছে, যানজট নয়, যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে দেখা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ও বাইপাইল থেকে নবীনগর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে নয়ারহাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ও নবীনগর থেকে জাহাঙ্গীরনগর পর্যন্ত চার কিলোমিটারসহ বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত চার কিলোমিটারসহ ২৬ কিলোমিটার যানজট রয়েছে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বাইপাইল এসেছেন অনিক নামের এক ব্যক্তি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, উত্তরা থেকে বাইপাইল পর্যন্তই যানজট বলা যায়। তবে নরসিংহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত গাড়ির চাকা ঘুরছে না। আমি কিছু রাস্তা হেঁটে আবার কিছু রাস্তা গাড়িতে এসেছি। প্রায় চার ঘণ্টায় আমি বাইপাইলে আসতে পেরেছি।
বাইপাইল থেকে চন্দ্রা আসতে পোশাক কর্মী মমিনুলের সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা। তিনি বলেন, বাইপাইল থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত যানজট না থাকলেও শ্রীপুরের পরই শুরু হয়। শ্রীপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা।
ঠিকানা পরিবহনের চালক মোন্নাফ বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্রা মোড় থেকে যানজট সৃষ্টি হয়ে শ্রীপুর পর্যন্ত ঠেকেছে। ধীরে ধীরে যানজট আরও বাড়ছে। আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলাম, আজ প্রচুর যানজট হবে। গত তিন-চার দিনে অনেক যাত্রী যেতে পারেননি। তাই শেষ সময়ে চাপ পড়বে, এটিই স্বাভাবিক।
সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কে হঠাৎ যাত্রী আর যানবাহনের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। সড়কে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। তবে যানজট নেই। আমরা ধীরগতি কিংবা ছোটখাট যানজট সৃষ্টি হলে দ্রুত নিরসনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৪
আরএইচ