চাঁদপুর: ঈদুল ফিতর খুবই সন্নিকটে। ঠিক এই মুহূর্তে আগের বছরগুলোয় সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে লঞ্চ আসত।
সোমবার (০৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লঞ্চঘাটে অবস্থান করে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি সোনারতরী, ময়ুর-২, এমভি মিতালী-৭ এবং বোগদাদিয়া লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা খুবই কম দেখা গেল। চাঁদপুর ঘাট থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে যাত্রীর অপেক্ষায় জম জম-৭ অপেক্ষমাণ দেখা যায়।
এমভি মিতালীর যাত্রী মফিজুল ইসলাম খান বলেন, অন্য বছর এই সময়ে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা থাকত অনেক। আগের বছর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে চাঁদপুরে এসেছি। তবে এবারের লঞ্চ যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। তিনি চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা।
ঢাকা থেকে আসা মতলব দক্ষিণের যাত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে এসেছেন। এবারের যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। কোনো কষ্ট মনে হয়নি।
ঢাকায় প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন শরীফ হোসেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে। তিনি বলেন, লঞ্চে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে সব সময় ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বাড়িতে যান। তবে এবার লঞ্চে কোনো ভিড় নেই, ভাড়াও আগের মত।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত বিআইডাব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, বিগত বছরগুলোয় যাত্রী চাপে ঘাটে দাঁড়ানোর অবস্থা থাকত না। তবে এবার যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। আগামীকাল যদি যাত্রী আরও বেশি থাকে তাতে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দুপুরে লঞ্চঘাট পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি যাত্রী ও অটোরিকশা চালকদের মধ্যে সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। তিনি বলেন, ঈদে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো যাতে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, কোনো ধরনের ডাকাতি কিংবা অন্য ঘটনার শিকার না হয়, সে জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। ঘাটে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীরা কোনো ধরনের হয়রানির অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৪
এসআইএ