মানিকগঞ্জ: সাহরি খেয়ে মোটরসাইকেলে রওনা হয়েছি পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবো বলে। তবে অন্য বছরের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নেই কোনো ভোগান্তি।
কথাগুলো বললেন পাবনাগামী ওমর ফারুক নামের এক বাইকার।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদে ঘরমুখো মানুষকে ছুটতে দেখা যায়।
গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় অনেকেই গাড়ির টিকিট না পেয়ে কাটা গাড়িতে (লোকাল) করে ঈদ আনন্দ করতে ছুটে চলেছে ঘরমুখো মানুষ। এ যাত্রায় ঝুঁকি রয়েছে জানার পরও নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য মোটরসাইকেলকেই বেছে নিয়েছে মহাসড়কে।
ফরিদপুরগামী আরও এক বাইকার বলেন, আমি প্রতিবছর মোটরসাইকেল নিয়েই ঈদে বাড়ি যাই। মোটরসাইকেল যাত্রায় নিজের ইচ্ছেমতো যাওয়া যায়।
লাবিব নামের মোটরসাইকেলের আরও এক আরোহী বলেন, গাড়ির টিকিট পাইনি যে কারণেই বন্ধুর বাইকের পেছনে বসে বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছি। গাড়ির চেয়ে মোটরসাইকেল জার্নিটাই অনেক স্বাচ্ছন্দ্যের মনে হচ্ছে।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, ভোর থেকেই মহাসড়কে মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে। সময় যত বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে যাতে মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের কোনো ধরনের ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৪
আরএ