ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদযাত্রার শেষ দিনে চাপ নেই সদরঘাটে, স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
ঈদযাত্রার শেষ দিনে চাপ নেই সদরঘাটে,  স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের চিত্র

ঢাকা: রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতরের মেতে উঠবে ছোট-বড় সবাই। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শেষ দিনে বাড়ি ছুটছে মানুষ।

তবে ঈদের আগে শেষ দিনে তেমন যাত্রীর চাপ নেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। ফলে অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরতে পারছেন যাত্রীরা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টার্মিনালে আসছেন বরিশাল, চাঁদপুর, হাতিয়া, ভোলা, মনপুরা, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা। গত দুইদিনের তুলনায় ভিড় না থাকায় সহজেই পছন্দের লঞ্চে উঠতে পারছেন যাত্রীরা।  

লঞ্চগুলোও অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়। নেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের ভোগান্তি। বিকালের লঞ্চগুলোকেও নির্দিষ্ট সময়ে টার্মিনাল ছেড়ে যেতে দেখা যায়।

লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানান, গত দুইদিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বাড়ি ফেরা মানুষের ব্যাপক ভিড় ছিল। তবে আজ তার অর্ধেক যাত্রীও নেই। বেশিরভাগ যাত্রীই ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে। ফলে আজ অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে সন্ধ্যার পর যাত্রীর চাপ একটু বাড়তে পারে। কারণ অনেক ব্যবসায়ী রাতে বাড়ি ফিরবে।

ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী এমভি ঈগল-৩ এর মাস্টার মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আজ যাত্রীর চাপ কম। গতকাল ও পরশু ভালো যাত্রী ছিল। আজ ৫০০ যাত্রী হবে কিনা জানি না। তবে কোনো বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। ডেকে জনপ্রতি ১৯০ টাকা ও চেয়ার ২৫০ টাকা করে রাখা হচ্ছে।

যাত্রী না থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, চাঁদপুরের অনেক মানুষ আজ ঈদ পালন করছে। যার কারণে যারা চাঁদপুরের যাত্রী তারা আগেই চলে গেছে।

এই লঞ্চে করে চাঁদপুর যাচ্ছেন সরকারি তিতুমির কলেজের শিক্ষার্থী ও একটি হাসপাতালে কাজ করা মো. ইব্রাহীম। তিনি বলেন, আমার বাড়ি হাইমচরে। সেখানে আগামীকালই ঈদ। কলেজ বন্ধ হলেও চাকরির জন্য এতদিন ঢাকায় থাকতে হয়েছে। এখন বাড়ি যাচ্ছি। কোনো ভোগান্তি নেই। ভাড়াও আগেরটাই রাখা হয়েছে।

হাতিয়া রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৮ লঞ্চের ইঞ্জিন চালক মো. হান্নান বলেন, আজ সকালেও যাত্রী ছিল। তবে দুপুর ধরে আর যাত্রী নেই। এখন যারা যাচ্ছে তারা শেষ মুহূর্তের যাত্রী। যাত্রী হলে নির্দিষ্ট সময়েই লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তা না হলে একটু দেরি হতে পারে।

বাড়ি যেতে এমভি ফারহান-৮ লঞ্চে সকাল ৯টায় উঠেছেন রাজধানীর ফার্মগেটের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করা ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, লঞ্চ ৫টায় ছাড়ার কথা। তবে মনে হয় না রাত ৯টায়ও ছাড়তে পারবে৷ আর এত রাতে ছাড়লে ঈদের জামাতও ধরতে পারবো কিনা জানি না। তবে বাড়তি ভাড়া নেয়নি।

ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচরকারী প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হৃদয় খান বলেন, আজকে সাধারণ সময়েন মতোি যাত্রী। লঞ্চের অর্ধেকও হয়তো ভরবে না। আর পদ্মাসেতু হওয়ার পর আমাদের রুটে এমনিতেই যাত্রী কমে গেছে। তবে যাত্রী হোক বা না হোক রাত ৯টায় নির্দিষ্ট সময়েই লঞ্চ ছেড়ে যাবে।

স্বামী-সন্তানদের নিয়ে বরিশাল শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে গৃহিনী লাবনী আক্তার। তিনি বলেন, লঞ্চে ভিড় হবে চিন্তা করে দুপুরেই রায়েরবাগ থেকে সদরঘাট এসেছি। কিন্তু দেখি তেমন ভিড় নেই। পদ্মাসেতু হওয়ার পর আমাদের রুটে এখন বেশিরভাগ মানুষ বাসেই যাতায়ত করে। তবে বাসে আমাদের বমি হয় দেখে লঞ্চেই যাচ্ছি। এতে অনেক স্বস্তি পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
এসসি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।