ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাত পোহালেই ঈদ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দোকানে বেড়েছে ভিড় 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
রাত পোহালেই ঈদ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দোকানে বেড়েছে ভিড় 

মাদারীপুর: রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আগের দিন নিত্যপণ্যেসহ মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ছাড়াও এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন স্থানে গরু জবাই দেওয়া হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে গরুর মাংস কিরছেন ক্রেতারা।  

শিবচর পৌর বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে উৎরাইল নয়াবাজারে ৭৫০ টাকা। এছাড়াও নয়াবাজার সংলগ্ন জুনাইদ সুপার শপে ৭৩০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। উপজেলার গ্রাম পর্যায়ের বিভিন্ন বাজারে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। সকাল, দুপুর এবং বিকেল পর্যন্ত গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার থেকেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। গরুর দামের ওপর নির্ভর করে মাংসের দাম বাড়ে-কমে। একারণেই কোথাও সাড়ে ৭০০ আবার কোথাও ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের দিন সকালেও বাজারগুলোতে গরু জবাই হবে। দাম এরকমই থাকবে।

ক্রেতারা জানান, মাংসের দাম বেড়েছে। ঈদ আসার এক সপ্তাহ আগেও ৭০০ টাকা দরে কেজি প্রতি গরুর মাংস কিনেছি। অথচ এখন শিবচর পৌর বাজারে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গ্রামে কিছুটা কম দামে বিক্রি হলেও বেশির ভাগ বাজারে সাড়ে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মো. মিরাজ নামে এক ক্রেতা বলেন, শিবচর বাজার থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মাংস কিনেছি। পাশাপাশি ফার্মের মুরগি কিনেছি একটা। ফার্মের মুরগিও ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, গরুর মাংসের সঙ্গে মুরগির দামও বেড়েছে। আকার ভেদে মুরগি ২৪০/৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগির দাম ৩৫০/৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগীর দাম আরও বেশি। ৭/৮ শত টাকা দরে বিক্রি হয় দেশি মুরগি। মাংসের পাশাপাশি সেমাই, চিনি, পোলাও এর চাল, মশলা, তেলসহ নিত্যপন্য কিনতে দোকানে ভিড় দেখো গেছে।

ঈদ উপলক্ষ্যে কেনা-বেচার ধুম পড়ে দোকানে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই এখন কেনাকাটার ব্যস্ততা। ঈদের আগের দিন সেমাই, পোলাও এর চাল, চিনি, গরুর মাংস আর মুরগির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। নিত্য পণ্যের দাম বেশি থাকায় বিপাকে পড়তে হয় স্বল্প আয়ের মানুষের। তারপরও ঈদের দিন একটু ভালো-মন্দ খাবার পরিবারের সদস্যদের মুখে তুলে দিতে প্রানান্ত চেষ্টা থাকে স্বল্প আয়ে চলা কর্তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।