পটুয়াখালী: কুয়াকাটায় লেম্বুর বন থেকে চর গঙ্গামতি পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে ঈদের দ্বিতীয় দিনে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
পর্যটকরা সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট-বড় ঢেউয়ে সাঁতার কেটে আনন্দ উপভোগ করছেন।
পর্যটকদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন স্থানে বসা স্থায়ী অস্থায়ী দোকানগুলোতে। চালু রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।
সৈকতের ছাতা চেয়ার (কিটকট) ব্যবসায়ী নাসির খলিফা জানান, কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শনিবার লাখের পর্যটককের সমাগম ঘটবে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. মারুফ জানান, আজকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরা বুকিং করে না এসে বিপদে পড়ে গেছি। হোটেলে রুম পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ জানান, প্রায় সব হোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ বুক হয়ে গেছে। এখন পর্যটকেরা ফোনে কক্ষ বুক দিচ্ছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাদের পুলিশ সদস্যরা পোশাকে এবং সাদা পোশাকে কাজ করছেন।
পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সেবায় আমাদের পৌরসভা প্রস্তুত রয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা মহাসড়কের চার লেন বাস্তবায়িত হলে আরও পর্যটক বাড়বে। আজ পর্যটকে মুখরিত কুয়াকাটা।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আজ কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর। কাল-পরশু কুয়াকাটায় পর্যটক বাড়বে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানা, মহিপুর থানা, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
আরএইচ