ঢাকা: রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে একটি বাসায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ মেহেরুন্নেসা মারা গেছে। এ ঘটনায় মেহেরুন্নেছাসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছিলেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেরুন্নেসার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মেহেরুন্নেসার শরীরের ৪৭ শতাংশ পোড়া ছিল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে মেরুন্নেসাসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।
দগ্ধরা হলেন মো. লিটন (৪৮), তার স্ত্রী সূর্য বানু (৩০), তাদের তিন সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৮) ও লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা (৮০)। দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে মেহেরুন্নেসার মৃত্যু হয়েছে।
তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম জানান, লিটনের বাড়ি ময়মনসিংহ। পরিবার নিয়ে ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন তিনি। এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা আছে তার।
রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়েছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হন।
তিনি আরও জানান, বাসাটিতে গ্যাস দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমেছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে জানা যায়, গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের পাঁচজন এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন। দগ্ধ লিটনের শরীরের ৬৭ শতাংশ পোড়া আছে। এছাড়া তার স্ত্রী সূর্য বানুর ৮২, লিজার ৩০, লামিয়ার ৫৫, সুজনের ৪৩ শতাংশ পোড়া। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
ভাসানটেকে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে ছয়জন দগ্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
এজেডএস/এফআর