ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে নৃত্যশিল্পিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
বাগেরহাটে নৃত্যশিল্পিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোল্লাহাটে এক নৃত্যশিল্পিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) গভীর রাতে মোল্লাহাট উপজেলার ঘাটবিলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

 

পরে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আরমান শেখ (১৯), রাজিব শেখ (১৯), সোহাগ (১৮), নাসিম মোল্লা (১৯) ও করিম (২২)। তাদের সবার বাড়ি মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামে।

ভিকটিম নৃত্যশিল্পীর বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলায়। তিনি স্বামী সন্তানসহ ফকিরহাট উপজেলা সদরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামে হৃদয়ের বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে নাচতে আসেন ভিকটিম ওই নৃত্যশিল্পী। নাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারী ও তার স্বামীকে ভিন্ন ভিন্ন মোটরসাইকেলে করে ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে পাঠায়। পরে যুবকরা ওই নারীকে এক সড়কে এবং তার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে অন্য সড়কে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা ‍ওই নৃত্য শিল্পিকে জোরপূর্বক ঘাটবিলা এলাকায় পরিত্যক্ত টিন শেডের ঘরে নিয়ে আটজন মিলে ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে টহলরত হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।  

পরে মোল্লাহাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও এক অভিযুক্তকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিম নারীকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।