বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় বাজার থেকে ডেকে নিয়ে হরিণ শিকারের মামলায় আটক মো. জুয়েলকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (১) এর বিচারক কামরুল আজাদ ২০ হাজার টাকার বেলবন্ডে জুয়েলকে জামিন দেন।
আটক মো. জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। তিনি ঈদের একদিন আগে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামে শ্বশুর বাদশা হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তাকে পূর্ব সুন্দরবনের বগি স্টেশনের চরখালি টহলফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ পেতেছে এমন অভিযোগে আটক দেখায় বন বিভাগ। এসময় তার কাছ থেকে ১৫০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদও উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
তবে জুয়েলের পরিবারের দাবি, বনে প্রবেশের ফি অনেক বেশি হওয়ায় জুয়েল এসিএফকে কয়েকবার ফোন দেন। এতে তিনি বিরক্ত হয়ে বাজার থেকে তাকে ধরে নিয়ে হরিণ শিকারের মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছিলেন।
জুয়েলের স্ত্রী সাথী বেগম বলেন, আমার স্বামী সুন্দরবনে যায়নি। যেদিন মামলা দেয়, তার আগের দিন বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শরণখোলা বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মাহাবুব হোসেন।
জুয়েলের আইনজীবী মো. এনামুল হক বলেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এসিএফ জুয়েলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়। দীর্ঘ শুনানির শেষে ২০ হাজার টাকার বেলবন্ডে জুয়েলকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন। এসময় আদালত মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মাহাবুব হোসেনকে পরবর্তী মামলার ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।
তবে প্রথম থেকেই জুয়েলের পরিবারের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে আসছিলেন এসিএফ মাহাবুব হোসেন।
তিনি বলেছিলেন, চরখালী ক্যাম্পের বনরক্ষীরা এক শিকারিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। আমাকে তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
এসআই