ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী সংহতি জরুরি।
তিনি বলেন, অভিযোজন শুধুমাত্র স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নয় বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ন্যাপ এক্সপো ২০২৪- এর হাই-লেভেল ট্রান্সফরমেশনাল ডায়ালগ: এ ট্রান্সফর্মড ন্যাপ ফর দ্য ফিউচার শীর্ষক অধিবেশন পরিচালনা করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী জাতিসংঘের জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ মাত্র ০.৪৮ শতাংশ হলেও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ শিকারের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির খরচ বেড়ে যাবে। সুতরাং সবকিছুকে জলবায়ু পরিবর্তনের লেন্সে দেখতে হবে... আর্থিক রিটার্নের ক্ষেত্রে অভিযোজনকে ন্যায্যতা দেওয়া কঠিন।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করলেও স্থানীয়ভাবে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতের প্রয়োজন মোকাবিলায় আমরা কীভাবে সক্ষমতা তৈরি করব? অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ।
অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সেক্রেটারি সাইমন স্টিল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং ফিলিপাইন ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিশন প্রেসিডেন্টের অফিসের পরিচালক রবার্ট ই এ বোর্জে প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
জিসিজি/আরআইএস