ঢাকা: বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যদি সত্য হয়, তবে তা অবশ্যই উদাহরণ হবে। কারণ দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এখানে যা হয়েছে, তা সাগরচুরি।
অভিযোগ যথাযথভাবে অনুসন্ধান করা না হলে সৎ কর্মকর্তারা সৎ থাকার বিষয়ে নিরুৎসাহ হবেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। কোথায়, কবে, কত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার পর দুদককে অবশ্যই এটা তদন্ত করতে হবে। আর দুদক যদি তদন্ত না করত তবে হাইকোর্টের ক্ষমতা আছে। হাইকোর্ট দুদককে অনুসন্ধানে আনতে বাধ্য করতে পারেন।
তবে দুদক নিজেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বেনজীর আহমেদ যদি দুর্নীতি করে থাকেন তাহলে দুদকের অনুসন্ধানে তা অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। ’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি বলেন, ‘দুদক যদি বেনজীর বা তাঁর আত্মীয়-স্বজনের দুর্নীতির খোঁজ পায় তাহলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। সবার স্বার্থেই করতে হবে।
এমনকি পুলিশের স্বার্থেও এই তদন্ত হওয়া উচিত। কারণ এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর মানুষের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, বুঝি পুলিশের সব সদস্য অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু পুলিশের অনেক সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তা আছেন। তাঁরা নিয়মিত দেশ ও জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। ’
বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের উদাহরণ টেনে বিচারপতি মানিক বলেন, ‘বর্তমান আইজিপির আপন ছোট ভাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পরও সংসদ সদস্য নির্বাচনে হেরেছেন। এখান থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমানে পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হয়েও তিনি তাঁর ভাইয়ের নির্বাচনকে প্রভাবিত করেননি। ’
বেনজীর আহমেদ অপরাধ করে থাকলে সেটি তাঁর বিষয় মন্তব্য করে অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি বলেন, ‘অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা এর দায় নেবেন না। সরকারের স্বার্থেও অনুসন্ধানটা হওয়া উচিত। কারণ এখানে সরকারের ভাবমূর্তির প্রশ্ন রয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘দুদকের কর্মকর্তারা প্রভাবশালীদের কোনো চাপ অনুভব করলেও হাইকোর্ট কিন্তু পেছনে থেকে সেটি দেখবেন। ফলে এখানে লুকানোর কোনো উপায় নেই। কারণ হাইকোর্টে রিট ফাইল করা হয়েছে। সেহেতু হাইকোর্ট অবশ্যই এটা দেখবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এমজেএফ