ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি

ঢাকা: রানা প্লাজা ভবন ধসের ১১ বছর পরেও ভুক্তভোগীদের অধিকার আদায় ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দায়ের করা মামলাগুলোর বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা এবং চলমান মামলাগুলোর নিষ্পত্তিতে দেরি হওয়ার কারণ চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের করণীয় বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপে নেবার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।  

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘রানা প্লাজা ভবন ধ্স: ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় ১১ বছর’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলা হয়।

 

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার।  

মতবিনিময় সভায় ‘রানা প্লাজা ভবন ধ্স: ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় ১১ বছর’ বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন সুপ্রীম কোর্ট বাংলাদেশের এডভোকেট এবং ব্লাস্টের সিনিয়র স্টাফ আইনজীবী সিফাত-ই-নূর খানম।  

তিনি তার উপস্থাপনায় বিভিন্ন আদালতে চলমান রানা প্লাজা সম্পর্কিত সকল মামলার অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন এবং সুপারিশে এ সকল মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিতে মামলা সমূহকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে সমন্বিত প্রচেষ্টার উপর তাগিদ দেন এবং আইনের পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার ও শ্রমিকদের স্বার্থে স্বাস্থ্যসুরক্ষা নীতিমালার বাস্তবায়ন ও তদারকি জোরদার করার আহবান জানান।  

রানা প্লাজার মামলায় কেন এত দেড়ি হচ্ছে তার ব্যাক্ষা দিতে গিয়ে রানাপ্লাজার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরই জেলা ও দায়রা জজ আদালত ঢাকার বিমল সমাদ্দার বলেন, ২০১৩ সালে ২৫ এপ্রিল যখন মামলা হয় তখন ২০৩ জন শ্রমিক নিহত হয় বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৬ সালে মামলার চার্জশিট হওয়ার পর ২০১৭ সালে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়। কিন্তু মামলার চার্জ গঠন হবার পর আসামী পক্ষের থেকে হাইকোর্ট থেকে স্থগীত আদেশ দেয়া হয়। তাই যেখানে উচ্চ আদালত যেখানে স্থগীত আদেশ দেয় সেখানে আমাদের বিচারক আদালতের কিছু করার থাকেনা। আমাদের বিচারকদের চোখে পর্দা দেয়া থাকে আমরা কাগজ কলম ছাড়া কোন বিচার কার্যক্রম করতে পারি না।  

বিমল সমাদ্দার বলেন, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর থেকে মামলার সাক্ষীগ্রহন শুরু হয়। ফৌজদারী মামলাসমূহের ৫৯৪ জন সাক্ষী, যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করছেন। তাদেরকে আদালতে হাজির করাটা অনেক বড় প্রতিবন্ধকতা। তাদের আদালতে যাতায়াতের ভাতা সরবরাহ করা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ‍হিসেবে ব্যবস্থা করা কষ্টসাধ্য।  

বিলস নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রানাপ্লাজা ভবন ধসের ভুক্তভোগী নিলুফা বেগম, ‍শিলা বেগম, মিনু বেগম এবং দয়াল সূত্রধর। আরও উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক, ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল, ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
ইএসএস/এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।